কোটা আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে মাগুরায় বাম গণতান্ত্রিক জোটের মিছিলে পুলিশের বাধা

নিহতদের স্মরণে মাগুরায় বাম গণতান্ত্রিক জোটের শোক মিছিলে বাধা দিয়েছে পুলিশছবি: প্রথম আলো

কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে মাগুরায় বাম গণতান্ত্রিক জোটের শোক মিছিলে বাধা দিয়েছে পুলিশ। সমাবেশের ব্যানার কেড়ে নিয়েছে পুলিশ। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মাগুরা প্রেসক্লাবের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

নেতারা জানান, কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে এবং সরকারের পদত্যাগ দাবিতে সারা দেশে শোক মিছিলের কর্মসূচি দেয় বাম গণতান্ত্রিক জোট ও বাংলাদেশের জাসদ। মাগুরায় কর্মসূচিকে ঘিরে বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শহরের চৌরঙ্গী মোড় এলাকায় জড়ো হতে থাকেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতা-কর্মীরা। এ সময় পুলিশ তাঁদের সমাবেশ করতে নিষেধ করে। একপর্যায়ে নেতাদের কাছ থেকে ব্যানার কেড়ে নেওয়া হয়। এমনকি সমাবেশের জন্য আনা মাইকও পুলিশ ফিরিয়ে দিয়েছে। এর আধা ঘণ্টা পর নেতা-কর্মীরা জড়ো হয়ে ব্যানার ছাড়াই দাঁড়িয়ে একজন বক্তব্য দিয়ে কর্মসূচি শেষ করেন।

বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) মাগুরা জেলা শাখার আহ্বায়ক প্রকৌশলী শম্পা বসু বলেন, ‘আমরা গতকাল মঙ্গলবার এ কর্মসূচির ঘোষণা করেছিলাম। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে আজ চৌরঙ্গী মোড়ে সড়কের এক পাশে দাঁড়াতে গেলে পুলিশ আমাদের সঙ্গে মারমুখী আচরণ করে। তারা আমাদের ব্যানার কেড়ে নিয়ে যায়। পরে ব্যানার ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানালে পুলিশ আক্রমণাত্মক ভূমিকায় অবতীর্ণ হয় এবং সমাবেশ করতে বাধা দেয়। শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে না দেওয়া ও ব্যানার কেড়ে নেওয়ার তীব্র প্রতিবাদ জানাই।’

সমাবেশ করতে না দেওয়ার নিন্দা জানান বাংলাদেশের জাসদ মাগুরা জেলার সভাপতি এ টি এম মহব্বত আলী, বাম গণতান্ত্রিক জোট মাগুরা জেলার সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ মাগুরা জেলার সাধারণ সম্পাদক কাজী নজরুল ইসলাম ফিরোজ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি মাগুরা জেলা শাখার সভাপতি বীরেন বিশ্বাস ও সদস্য সামছুন নাহার জোছনা।

এ বিষয়ে পুলিশের আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশের এক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে জানান, দেশের চলমান পরিস্থিতি বিবেচনায় তাঁদের সমাবেশ না করতে অনুরোধ জানানো হয়। এ ছাড়া তাঁদের সমাবেশ করার প্রশাসনিক কোনো অনুমতি ছিল না।