আশ্রয়কেন্দ্রে আছেন জানাতে ভোট দিতে যান আঙ্গুরা, সহায়তা চাওয়ার কথা বলতে পারেননি

ঘরে পানি ওঠায় আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছেন তাঁরা। বুধবার কানাইঘাট উপজেলার শাহ ইব্রাহিম তছনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রেছবি: আনিস মাহমুদ

বন্যায় ঘরে হাঁটুসমান পানি উঠলে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার ঈদগাহ এলাকার শাহ ইব্রাহিম তছনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে যান আঙ্গুরা বেগম (৪০)। তাঁর সঙ্গে পরিবারের আরও ছয় সদস্য সেখানে ঠাঁই নেন। ১০ দিন ধরে আশ্রয়কেন্দ্রে আছেন তাঁরা। সহায়তা হিসেবে পেয়েছেন এক প্যাকেট মুড়ি, এক প্যাকেট চিড়া ও কিছু গুড়। এর বাইরে কোনো সহায়তা পাননি।

এমন পরিস্থিতির মধ্যে আঙ্গুরা বেগম আজ বুধবার কানাইঘাট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট দিতে যান। ইচ্ছা ছিল কোনো প্রার্থীর দেখা পেলে সহযোগিতা চাইবেন, কিন্তু দেখা না হওয়ায় তা চাইতে পারেননি। এত দিন কোনো প্রার্থী আশ্রয়কেন্দ্রে তাঁদের কাছে ভোট চাইতেও আসেননি। আজ বেলা তিনটার দিকে আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়ে কথা হয় আঙ্গুরা বেগমের সঙ্গে। তিনি বলেন, ভোটকেন্দ্রে গেলে প্রার্থীদের পাবেন, নির্বাচিত হলে তাঁদের কাছে সহায়তার কথা বলা যাবে—এমন চিন্তা থেকেই তিনি কেন্দ্রে গিয়েছিলেন, কিন্তু কোনো প্রার্থীর দেখা পাননি। এ জন্য সহায়তা চাওয়ার কথা কাউকে বলতেও পারেননি। পরে ভোট দিয়ে চলে এসেছেন।

আশ্রয়কেন্দ্রটির চারদিকে পানি। মূল সড়ক দিয়ে নৌকায় অথবা হাঁটুপানি মাড়িয়ে আশ্রয়কেন্দ্রটিতে যেতে হয়। আশ্রয়কেন্দ্রটিতে যাওয়ার পর দেখা মেলে বারান্দায় দুটি মাটির চুলা। ওই চুলায় রান্নার কাজ করেন বিদ্যালয়টিতে আশ্রয় নেওয়া বাসিন্দারা।

আঙ্গুরা বেগমের সঙ্গে একই আশ্রয়কেন্দ্রে থাকেন হাসিনা বেগম (৪০)। তিনিও একই গ্রামের বাসিন্দা। হাসিনা বেগম বলেন, ঘরে পানি ওঠার পর আশ্রয়কেন্দ্রে চলে এসেছেন। আশ্রয়কেন্দ্রে আসার পর ভাত ছাড়া রান্নার মতো তেমন কিছু নেই। আজ দুপুরে ভাতের সঙ্গে কাঁঠালের বিচি লবণ দিয়ে সেদ্ধ করে খেয়েছেন।