পিরোজপুরে নৌকা ও স্বতন্ত্র সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, তিন নেতার বাড়িতে হামলা

পিরোজপুর জেলার মানচিত্র

পিরোজপুরে আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও তিন নেতার বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। আজ রোববার বিকেলে সদর উপজেলার কদমতলা ও পিরোজপুর পৌর শহরে এ ঘটনা ঘটে। হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় চারজনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

পিরোজপুর-১ (সদর-নাজিরপুর-ইন্দুরকানি) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য শ ম রেজাউল করিম এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম এ আউয়ালের সমর্থকদের মধ্যে এই হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আউয়াল একই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। দলীয় মনোনয়নবঞ্চিত হয়ে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ বেলা আড়াইটার দিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী আউয়ালের ভাতিজা তানভীর মুজিব মোটরসাইকেল বহর নিয়ে যাওয়ার সময় সদর উপজেলার কদমতলা এলাকায় নৌকার প্রার্থীর সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে তানভীর মুজিব (৩৫), স্মরণ চক্রবর্তী (৩১) ও রনি দাস (৩৫) নামের আউয়ালের সমর্থকেরা আহত হন।

দলীয় সূত্র জানায়, সংঘর্ষের পর পিরোজপুর শহরের পাড়েরহাট সড়কে পৌর ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাব্বির শেখকে (২৪) পিটিয়ে আহত করেন আউয়ালের সমর্থকেরা। ওই সময় সাব্বিরের মোটরসাইকেলটিও ভাঙচুর করা হয়। এরপর আউয়ালের সমর্থকেরা শহরের বসন্তপুর এলাকায় জেলা যুবলীগের সভাপতি আক্তারুজ্জামান, বলাকা ক্লাব সড়কে জেলা মৎস্যজীবী লীগের আহ্বায়ক সিকদার চান ও নড়াইলপাড়া মহল্লায় জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইফতেখার মাহামুদের বাড়িতে হামলা করেন বলে অভিযোগ ওঠে।

আহত তানভীরের ছোট ভাই ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক তৌকির মুজিব বলেন, নেতা-কর্মীদের নিয়ে সিকদার মল্লিক ইউনিয়ন থেকে তাঁর ভাই পিরোজপুর শহরে ফিরছিলেন। সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যানের লোকজন ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাঁদের ওপর হামলা করেন।

জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইফতেখার মাহামুদ অভিযোগ করে বলেন, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী আউয়ালের লোকজন আমার বাড়িসহ আরও দুই নেতার বাড়িতে হামলা করেছেন।’ তবে অভিযোগ অস্বীকার করে আউয়ালের অনুসারী জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক সুমন শিকদার বলেন, ‘আমাদের কেউ কারও বাড়িতে হামলা করেছে বলে আমার জানা নেই।’

এ বিষয়ে নৌকার সমর্থক শ ম রেজাউল করিম প্রথম আলোকে বলেন, আউয়ালের ভাতিজা তানভীর মুজিবের নেতৃত্বে তিন শতাধিক ক্যাডার সদর উপজেলার কদমতলা বাজারে নৌকার নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর ও আলামকাঠি এলাকায় নির্বাচনী কার্যালয় পুড়িয়ে দিয়েছে। তাঁর কয়েকজন নেতার বাড়িতে হামলা করেছে এবং জেলা যুবলীগের সভাপতি আক্তারুজ্জামানের বাড়িতে হামলা করে গুলি চালিয়েছে।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিকুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে শহরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। বর্তমানে পরিবেশ শান্ত আছে। এ ঘটনায় কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।