সংসদ সদস্যরা কথায় কথায় বিদেশে গেলে জনগণের আস্থা আসবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

নড়াইলে হাসপাতাল ভবন উদ্বোধনের পর মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন। শনিবার বিকেলেছবি: প্রথম আলো

সংসদ সদস্যরা কথায় কথায় যদি চেকআপ করাতে বিদেশে যান, তাহলে দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থার ওপর জনগণের আস্থা আসবে না বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন। আজ শনিবার বিকেলে নড়াইল জেলা হাসপাতালের সম্মেলনকক্ষে মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে নড়াইলের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। পরে জেলা হাসপাতালের সম্মেলনকক্ষে মতবিনিময় সভায় যোগ দেন। সভায় নড়াইল-২ (সদর-লোহাগড়া) আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মুর্তজার প্রশংসা করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এর আগে বেলা তিনটায় লোহাগড়া উপজেলায় ৩১ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধন করেন মন্ত্রী।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘মাশরাফি যেভাবে হাসপাতালটাকে নিজের মনে করেন, এভাবে যদি সারা দেশের সংসদ সদস্যরা মনে করতেন, তাহলে অবশ্যই বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা অনেক ওপরে যেত। সংসদ সদস্যরা যদি যাঁর যাঁর এলাকার হাসপাতালে গিয়ে নিজের চেকআপ করান, তাহলে জনগণের আস্থাটা বাড়বে। সংসদ সদস্যরা যদি কথায় কথায় বিদেশে চলে যান, তাহলে জনগণের আস্থা আসবে না।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাস্থ্য খাত সম্পর্কে আমি অনেক কিছুই জানি। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর আমার একটাই প্রতিজ্ঞা, জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেব, যাতে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী স্বাস্থ্যসেবা পান।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘নড়াইলে যদি একটা ভালো হাসপাতাল, অপারেশন থিয়েটার হয়, তাহলে তো রোগীরা ঢাকা বা যশোরের দিকে যাবেন না। বড় বড় হাসপাতালে রোগীদের চাপে হাঁটা যায় না। আমরা যদি এখানে ভালো চিকিৎসা দিতে পারি, রোগীরা ঢাকামুখী হবে না। নড়াইলের দুটি সুন্দর হাসপাতাল দেখলাম। হাসপাতাল দুটিকে যদি চালু করা যায়, তাহলে বহু মানুষের উপকার হবে। আমি অবশ্যই এ ব্যাপারে কাজ করব।’

মতবিনিময় সভায় সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মুর্তজা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা, নড়াইলের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরী, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মেহেদী হাসান, সিভিল সার্জন সাজেদা বেগম, জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. আবদুল গফফার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।