বগুড়ায় বিএনপির মিছিলে পুলিশের বাধা, দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ

নয়াপল্টনে পুলিশের হামলা ও গণগ্রেপ্তারের প্রতিবাদে বগুড়ায় বিএনপির কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করলে পুলিশ বাঁধা দেয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে বগুড়া শহরের নওয়াববাড়ি সড়কে
ছবি: প্রথম আলো

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নেতা-কর্মীদের ওপর পুলিশের নির্বিচার গুলি ও হত্যা, অভিযানের নামে কার্যালয়ে ঢুকে হামলা এবং নেতা-কর্মীদের গণগ্রেপ্তারের প্রতিবাদে বগুড়ায় বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচিতে বাধা দিয়েছে পুলিশ। পুলিশ মিছিলে বাধা দেওয়ায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেল চারটায় শহরের নওয়াববাড়ি সড়কে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এ প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে বগুড়া জেলা বিএনপি।

সমাবেশে জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন বলেন, ঢাকায় বিএনপির গণসমাবেশ কর্মসূচি বানচাল করতে সরকার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। কিন্তু সরকার যতই ষড়যন্ত্র করুক, যতই নাটক সাজানো হোক, কোনো ষড়যন্ত্র কাজে আসবে না। বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপির মহাসচিবকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। সেখানে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে। দ্রুত সেখান থেকে পুলিশ প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি।

সরকারের উদ্দেশে জয়নাল আবেদীন আরও বলেন, ‘আগুনে হাত দিয়েছেন। সারা দেশে ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষক দল ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। কারও চোখ রাঙানিকে আমরা ভয় পাই না। আমরা বুক পেতে দিয়েছি। ১০ ডিসেম্বর পল্টনেই সমাবেশ হবে।’

এর আগে শহরের নওয়াববাড়ি সড়কে দলীয় কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সার্কিট হাউস মোড়ের দিকে অগ্রসর হতে চাইলে সদর পুলিশের বাধার মুখে পড়েন নেতা-কর্মীরা। মিছিলের সামনে পুলিশি ঢাল তৈরি করা হয়। পুলিশের বাধায় সামনে যেতে না পেরে সেখানেই বিক্ষোভ শুরু করেন নেতা-কর্মীরা। একপর্যায়ে সেখানে সমাবেশও হয়।

সমাবেশে বক্তারা আরও বলেন, বিএনপির গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে কেন্দ্রীয় নেতাদের দলীয় কার্যালয়ে ঢুকতে দিচ্ছে না পুলিশ। নয়াপল্টন এলাকা অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। অবৈধ সরকার কোনো কিছুর তোয়াক্কা করছে না। সাধারণ রাজনৈতিক শিষ্টাচার ধ্বংস করেছে। কিন্তু এই দমন-পীড়ন, হত্যা, নির্যাতন করে শেষ রক্ষা হবে না।

সমাবেশে জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম বলেন, দূরদূরান্ত থেকে নেতা-কর্মীরা দলীয় কার্যালয়ের সামনে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করলেও আওয়ামী লীগের লেলিয়ে দেওয়া পুলিশ বাহিনী নির্বিচার গুলি চালিয়ে, কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে কয়েক শ নেতা-কর্মীকে গুলিবিদ্ধ ও আহত করেছে। মকবুল নামের এক কর্মীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। শত শত নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যারা জনগণের অর্থ লুট করেছে, ক্রসফায়ারের নামে বিএনপির নেতা-কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে, তাদের স্যাংশন (নিষেধাজ্ঞা) দেওয়া হয়েছে। সারা বিশ্ব ১০ ডিসেম্বরের ঘটনা পর্যবেক্ষণ করছে। ফয়সালা হবে রাজপথে।

বগুড়া সদর ফাঁড়ির পরিদর্শক শাহিনুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলের জন্য আগে থেকে অনুমতি নেওয়া ছিল না। এ জন্য মিছিলে বাধা দেওয়া হয়েছে।