পদ্মা সেতুর সার্ভিস সড়কে পথচারীদের ওপর উঠে গেল বাস, প্রাণ গেল একজনের
শরীয়তপুরের জাজিরায় বাসের চাসের চাপায় লাক্কু মাদবর (৩০) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আজ রোববার সকালে উপজেলার নাওডোবা এলাকায় পদ্মা সেতুর সার্ভিস সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় বাসের চাপায় আরও ছয়জন আহত হয়েছেন। পরে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও সেনা সদস্যরা তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান।
নিহত লাক্কু জাজিরা উপজেলার পশ্চিম নাডোবা গ্রামের মালেক মাদবরের ছেলে। তিনি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালক ছিলেন।
পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানা ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ সকালে বসুমতি ট্রান্সপোর্টের একটি বাস ঢাকা থেকে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে যাচ্ছিল। সকাল ৯টার দিকে বাসটি পদ্মা সেতুর টোল প্লাজা পেরিয়ে সার্ভিস সড়ক দিয়ে নাওডোবার জমাদ্দার মোড় এলাকায় অতিক্রম করছিল। সেখানে বাসে ওঠার জন্য যাত্রী অপেক্ষা করছিলেন। একই সঙ্গে বাস থেকে নামা যাত্রীদের পরিবহন করার জন্য ভ্যান ও অটোরিকশা নিয়ে চালকেরাও সেখানে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় ওই বাসের চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে বাসটি পথচারীদের ওপর উঠে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই লাক্কু মাদবর মারা যান। এ ছাড়া বাসের নিচে চাপা পড়ে ছয় পথচারী আহত হন।
দুর্ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন প্রথমে তিনজনকে উদ্ধার করে জাজিরা ও শিবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে পাঠান। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস, পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানা-পুলিশ, শিবচর হাইওয়ে থানা-পুলিশ ও জাজিরা শেখ রাসেল সেনানিবাসের সেনাসদস্যরা উদ্ধার অভিযানে অংশ নেন। পরে সেনানিবাসের ক্রেন দিয়ে বাসটি সরিয়ে আটকে পড়া তিন পথচারীকে উদ্ধার করা হয়। আহত ব্যক্তিদের শেখ রাসেল সেনানিবাসের হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়।
বাসচাপায় নিহত লাক্কু মাদবরের চাচাতো ভাই মোতাহার মাদবর মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, লাক্কু তাঁর অটোরিকশায় যাত্রী নেওয়ার জন্য নাওডোবার জমাদ্দার মোড় এলাকায় অপেক্ষা করছিলেন। তাঁর অটোরিকশাটি সড়কের পাশেই দাঁড় করানো ছিল।
পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, দুর্ঘটনার পরপরই বাসটি রেখে এর চালক, চালকের সরকারী ও বাসের সুপারভাইজার পালিয়ে গেছেন। বাসটি জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা করা হবে।