১০১ ইয়াবা ব্যবসায়ীর সাজার রায়ে সন্তোষ তাঁদের আইনজীবীদের
মাদক মামলায় কক্সবাজারের টেকনাফের ১০১ জন ইয়াবা ব্যবসায়ীর সাজার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন তাঁদের আইনজীবীরা। আসামিদের আইনজীবী দলের প্রধান ও আদালতের সাবেক সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর প্রথম আলোকে এ কথা বলেন।
মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বলেন, ২০১৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি টেকনাফ পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে আসামিদের আত্মসমর্পণের অনুষ্ঠানটি ছিল পূর্বপরিকল্পিত, পুলিশের সাজানো ঘটনা। টেকনাফ থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে তাঁদের আত্মসমর্পণে বাধ্য করেছিলেন। ৩০ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৩ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। এর মধ্যে আটজন পুলিশ সাক্ষী ছাড়া আর কেউ টেকনাফের মেরিন ড্রাইভের বিচ হ্যাচারি থেকে সাড়ে ৩ লাখ ইয়াবা, ৩০টি অস্ত্র, ৭০টি তাজা কার্তুজসহ আসামিদের গ্রেপ্তার হতে দেখেননি।
এই আইনজীবী বলেন, কক্সবাজার শহর থেকে কয়েকটি বাসে তুলে আসামিদের পুলিশি পাহারায় টেকনাফ পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে নেওয়া হয়েছিল। সব আসামির বেকসুর খালাস পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সমাজে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হবে জেনে আদালত আসামিদের মাদক মামলায় দেড় বছর করে কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন।
কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল আজ বুধবার ১০১ জন ইয়াবা ব্যবসায়ীর প্রত্যেককে ১ বছর ৬ মাস করে কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেন। আর অস্ত্র মামলায় ১০১ জনের সবাইকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও আদালতের সরকারি কৌঁসুলি ফরিদুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, অস্ত্র মামলা ১০১ জন আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হলেও মাদক মামলায় প্রত্যেক দণ্ড দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে সমাজের কাছে এই বার্তা দেওয়া হয়েছে যে অপরাধী যতই শক্তিশালী ও প্রভাবশালী হোক না কেন, শাস্তি পেতেই হবে। আসামিরা সবাই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ইয়াবা কারবারি ও পৃষ্ঠপোষক।