রংপুর সিটি নির্বাচনে ভরাডুবির পর জেলা ও মহানগর আ.লীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা

দেলোয়ার হোসেনতে রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক করা হয়েছে

রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভরাডুবির পর আওয়ামী লীগের রংপুর মহানগর ও জেলা শাখার কমিটি বিলুপ্ত করে আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। আজ রোববার রাতে দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে দলটির সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা শেষে সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এসব তথ্য জানান।

গত ২৭ ডিসেম্বর রংপুর সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হোসনে আরা লুৎফা (ডালিয়া) বড় ব্যবধানে পরাজিত হন। তিনি ২২ হাজার ৩০৬ ভোট পেয়ে চতুর্থ হন। মোট বৈধ ভোটের আট ভাগের এক ভাগ ভোট না পাওয়ায় তাঁর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়।

রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক করা হয়েছে এ কে এম ছায়াদত হোসেনকে

মেয়র পদে দলীয় প্রার্থীর পরাজয়ের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গত বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে নানা বিবেচনা থাকে। জনমত জরিপেই জাতীয় পার্টির প্রার্থী এগিয়ে ছিলেন। আওয়ামী লীগের ভেতরেও কিছু সমস্যা আছে। তা না হলে ভোটের এত ব্যবধান হওয়ার কথা নয়। আরেকজন প্রার্থীও আওয়ামী লীগের দলের লোক ছিল। আগেই জানা ছিল, এখানে এগিয়ে আছে জাতীয় পার্টির প্রার্থী। এখানে সরকারি দল থেকে কোনো বাড়াবাড়িও হয়নি। পিছিয়ে বলে জোর করে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়নি। সেদিক থেকে এখানে গণতন্ত্রের বিজয় হয়েছে। আর দলীয় বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে এবং এক সপ্তাহের মধ্যে বড় আকারে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেছিলেন তিনি।

আরও পড়ুন

আজ রোববার রাতে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সভাপতি শেখ হাসিনা সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী আওয়ামী লীগের রংপুর মহানগর ও রংপুর জেলা শাখার বর্তমান কমিটি ভেঙে দিয়ে আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেছেন। দুই সদস্যবিশিষ্ট মহানগর শাখার আহ্বায়ক করা হয়েছে দেলোয়ার হোসেনকে, যুগ্ম আহ্বায়ক হয়েছেন আবুল কাশেম। রংপুর জেলা শাখার আহ্বায়ক করা হয়েছে এ কে এম ছায়াদত হোসেনকে, যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছে মাজেদ আলীকে।

আরও পড়ুন

রংপুর সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে অংশ নেন মোট ৯ প্রার্থী। তাঁদের মধ্যে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মেয়র নির্বাচিত হন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী আমিরুজ্জামান ৪৯ হাজার ৮৯২ ভোট পেয়ে জামানত টিকিয়ে রেখেছেন। আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীসহ সাত প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন।