নির্মাণাধীন ভবন থেকে উদ্ধার হওয়া তরুণীর লাশ নিতে কেউ আসেননি

লাশ
প্রতীকী ছবি

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার গোগ্রাম এলাকায় নির্মাণাধীন একটি ভবন থেকে উদ্ধার হওয়া তরুণীর (১৯) লাশ নিতে কেউ আসেননি। নিহত তরুণীর বাবাও পলাতক। আর তরুণীকে হত্যার অভিযোগে সৎভাই, ভাবিসহ তিনজন আছেন কারাগারে।

আজ শুক্রবার সকালে গোদাগাড়ী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মতিন বলেন, নিহত তরুণীর বাবা আত্মগোপনে। এ কারণে মামলার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে তরুণীর লাশের বিষয়ে আবেদন করেছেন। আজকের মধ্যে এ বিষয়ে সুরাহা হতে পারে।

গত বুধবার সকালে গোদাগাড়ীর গোগ্রামে একটি নির্মাণাধীন ভবনের দ্বিতীয় তলায় পড়ে ছিল রক্তাক্ত তরুণীর লাশ। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ভবনটি ঘিরে রাখে। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সদস্যরা সেখানে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করেন।

এ ঘটনায় নিহত তরুণীর সৎভাই, ভাবিসহ তিনজনকে আটক করে পুলিশ। পরে পুলিশের পক্ষ থেকে করা হত্যা মামলায় ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার আসামিরা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে তাঁদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, সিআইডি দল সুরতহালের সময় নিহত তরুণীর কাছে একটি মুঠোফোন পায়। সেই মুঠোফোনের সূত্র ধরে তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই তরুণী রাজশাহী নগরে সৎভাইয়ের বাসায় থাকতেন। তাঁদের মধ্যে একটি গোপন বিষয় নিয়ে দুই দিন ধরে বিবাদ চলে আসছিল। সেই বিবাদের জেরেই তরুণীকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। গত মঙ্গলবার রাত নয়টার দিকে তরুণীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে গোদাগাড়ীর গোগ্রামে আনা হয়। পরে নির্মাণাধীন ভবনের দ্বিতীয় তলায় চাকু দিয়ে আঘাত করে তরুণীকে হত্যা করা হয়েছে।

নিহত তরুণীর গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায়। তিনি রাজশাহী নগরে সৎভাইয়ের বাসায় থাকতেন।

আরও পড়ুন

পুলিশের ভাষ্য, হত্যায় ব্যবহৃত চাকু ঘটনাস্থল থেকে তিন কিলোমিটার দূরে একটি নালা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত তরুণীর বাবার খোঁজ করা হচ্ছে। এ ঘটনায় থানার এসআই মাসুদ রানা বাদী হয়ে তিনজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন।