নোটিশ পেয়ে দুদক কার্যালয়ে বরিশাল সিটির সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী কামরুল আহসান

দুদকের বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের সামনে কামরুল আহসান। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে
ছবি: প্রথম আলো

নোটিশ পেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ে হাজিরা দিলেন বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে চাওয়া কামরুল আহসান ওরফে রূপণ। আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিনি দুদক কার্যালয়ে যান।

বরিশাল শহরের নবগ্রাম রোডে অবস্থিত দুদক কার্যালয় থেকে বের হয়ে আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন কামরুল আহসান।

এ সময় তিনি বলেন, ‘অনেকটা তাৎক্ষণিকভাবে আমাকে দুদক কার্যালয়ে তলব করা হয়েছিল। আমাকে ছাড়া আমার মা-বোনের সম্পদের হিসাবও চাওয়া হয়। তাঁদের পক্ষে আমি এসেছি। এখানে আমার বাবা ও দাদার সময়কার সম্পত্তির হিসাবও দিতে বলা হয়েছে। এটা কোন আইনে চাওয়া হয়েছে, সেটা আমি জানি না।’

কামরুল আহসান বরিশাল সিটি করপোরেশনের বিএনপি দলীয় প্রয়াত মেয়র আহসান হাবিব কামালের ছেলে। আহসান হাবিব গত বছর মারা গেছেন। তিনি বরিশাল মহানগর বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির মৎস্যজীবীবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। এ ছাড়া তিনি বরিশাল পৌরসভার মেয়র ছিলেন। ২০১৩ সালে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের তৎকালীন মেয়র শওকত হোসেন হিরনের সঙ্গে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হয়েছিলেন আহসান হাবিব।

আরও পড়ুন

কামরুল আহসান অভিযোগ করে বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে না। তাই আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার করার ঘোষণা দিয়েছি। এরপর দুদক আমার ও আমার পরিবারের সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ পাঠায়। আমি মনে করি, দুদক একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান। তাই আমাকে হয়রানি করার জন্য সরকারের ইশারায় পরিকল্পিতভাবে এটা করা হচ্ছে। সরকার চায় না সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী ছাড়া অন্য কোনো প্রার্থী থাকুক। সে জন্যই এ হয়রানি।’

দুদক যেসব তথ্য চেয়েছে, নিয়ম মেনে সেসব কাগজপত্র দিয়েছেন উল্লেখ করে কামরুল আহসান বলেন, ‘আমার ওপর দুদক ও বিভিন্ন প্রশাসনিক চাপ আসবে, এটা আগেই আশঙ্কা ছিল। আমি যাতে ঠিকভাবে নির্বাচনী কার্যক্রম চালাতে না পারি, সে জন্য একটি পক্ষ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাকে হেনস্তা করতে এটা করাচ্ছে। সামনে আরও ভয়ংকর পরিস্থিতি রয়েছে বলে আশঙ্কা করছি। দুদক যদি এভাবে হয়রানি করে, তাহলে নির্বাচনে বড় ধরনের সমস্যায় পড়তে হতে পারে আমার।’

কামরুল আহসান আরও বলেন, ‘সম্পদের তথ্য চেয়ে দুদক শুধু আমাকেই নয়, আমার মা-বোনকেও তলব করেছে। তবে আমি ২০০৪ সাল থেকে আয়কর দিয়ে আসছি। এখন আমার ও আমার বাবার জন্মের আগের সম্পত্তির হিসাব দিতে হবে কেন? আমি যতটুকু পারছি, তথ্য দিয়েছি দুদককে। আমার জন্মের আগে সম্পদের বিষয়ে আমার কাছে তথ্য নেই বলেও তাদের (দুদক) অবগত করেছি।’

এ বিষয় জানতে চাইলে দুদক বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আবুল কাইয়ুম হওলাদার প্রথম আলোকে বলেন, প্রয়াত মেয়র আহসান হাবিব কামালের জমা দেওয়া সম্পদ বিবরণীর বিষয়ে কিছু তথ্যাদি দিতে বলা হয়েছিল। এ জন্য তাঁকে ডাকা হয়।