চেহারা অস্পষ্ট থাকায় শনাক্তে সমস্যা: পুলিশ

সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল চৌধুরীর বাসার ফটকের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় দৃর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার রাতে নগরের কুমারপাড়া এলাকায়ছবি: সিসিটিভি ফুটেজ থেকে নেওয়া

সিলেট সিটি করপোরেশনের সদ্য সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর বাসভবনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশ বলছে, সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে অজ্ঞাত তিন ব্যক্তিকে এই বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িত থাকতে দেখা গেছে। তবে চেহারা অস্পষ্ট থাকায় শনাক্ত করতে সমস্যা হচ্ছে।

সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার মো. আজবাহার আলী শেখ আজ বুধবার বেলা পৌনে একটার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশ ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুর্বৃত্তদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছে। তবে এ ঘটনায় সাবেক মেয়র থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) বা মামলা করেননি।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটার দিকে মেয়রের বাসভবনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বাসার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, দুজন ব্যক্তি আরিফুল হক চৌধুরীর বাসভবনের প্রধান ফটকের দিকে দুটি ও ফটকের সামনে একটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। দুজনের সঙ্গে থাকা অপর এক ব্যক্তি বিস্ফোরণের দৃশ্য মুঠোফোনে ভিডিও করে। পরে তারা দ্রুত পালিয়ে যায়।

আরও পড়ুন

আরিফুল হক চৌধুরী বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পদে আছেন। গত ১৬ সেপ্টেম্বর তাঁকে দলটির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্যপদ থেকে এই পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়। এর আগে মেয়র থাকা অবস্থায় গত ২১ জুন অনুষ্ঠিত সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তিনি দলীয় নির্দেশনা মেনে অংশ নেননি। ওই নির্বাচনে জয়ী হন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। ৭ নভেম্বর আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর কাছে মেয়রের দায়িত্ব হস্তান্তর করেন আরিফুল হক চৌধুরী।