ফেসবুকে বন্ধুত্ব, ধর্ষণ, অতঃপর আসামির যাবজ্জীবন

কারাগারপ্রতীকী ছবি

তিন বছর আগে চট্টগ্রাম নগরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয় স্কুলছাত্রীর। বন্ধুত্বের সুযোগে ওই ছাত্রীকে জিম্মি করে ধর্ষণ করেন যুবক। এ মামলায় জাহাঙ্গীর আলম নামের ওই যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৬ চট্টগ্রামের বিচারক সিরাজদ্দৌলা কুতুবী এ রায় দেন।

ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি নজরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, আদালত আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দেন। আসামি জামিনে গিয়ে পলাতক।

আদালত সূত্র জানায়, নগরের একটি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণিপড়ুয়া স্কুলছাত্রীর সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয় জাহাঙ্গীর আলমের। পরে দুজনের মধ্যে বন্ধুত্ব হয়। ওই ছাত্রীকে শারীরিক সম্পর্কের জন্য চাপ দিতে থাকেন জাহাঙ্গীর। রাজি না হওয়ায় ওই ছাত্রীর ছবি সম্পাদনা করে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখানো হয়। পরে ওই ছাত্রীকে কয়েকবার ধর্ষণ করেন। ছাত্রীর মা পোশাকশ্রমিক, বাবা ফল বিক্রেতা। বাসায় কেউ না থাকার সুযোগে ওই যুবক আসতেন। ধর্ষণের ঘটনায় ছাত্রীর মা বাদী হয়ে ডবলমুরিং থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ অভিযোগপত্র জমা দেয়। ২০২২ সালের ২০ মার্চ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করেন আদালত। সাত সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে আদালত এ রায় দেন।