আদালত
প্রতীকী ছবি

বগুড়ায় দুটি হত্যা মামলায় সাতজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার দুপুরে বগুড়ার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত এ রায় দেন।

বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলায় চালকলের নৈশপ্রহরী আবদুল জব্বার হত্যার দায়ে দুই যুগ পর ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন বগুড়ার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত-৩–এর বিচারক রুবাইয়া ইয়াসমিন। আর কাহালু উপজেলার এক কৃষক হত্যার দায়ে একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত-২–এর বিচারক মো. কামরুল হাসান খান।

নৈশপ্রহরী হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন আফজাল হোসেন, জাহিদুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, গুলজার রহমান, আসমা বেগম ও আলম ফকির। একই সঙ্গে প্রত্যেককে চার হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও এক মাস করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তাঁদের মধ্যে আলম ফকির ও আসমা বেগম পলাতক। অন্যরা রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়।

বগুড়া আদালতের পরিদর্শক (ভারপ্রাপ্ত) মোসাদ্দেক হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ১৯৯৮ সালের ১৮ অক্টোবর বগুড়ার শিবগঞ্জর উপজেলার বিলহামলা গ্রামে একটি চালকলের নৈশপ্রহরী আবদুল জব্বারকে হত্যা করে আসামিরা বৈদ্যুতিক মোটর চুরি করে নিয়ে যান। এ ঘটনায় চালকলের মালিক শরীফ উদ্দিন বাদী হয়ে শিবগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

এদিকে কাহালু উপজেলার কৃষক মজিবর রহমান হত্যার দায়ে তসলিম উদ্দিন (৭০) নামের এক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। একই সঙ্গে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ১৫ আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্ত তসলিম উদ্দিন কাহালু উপজেলার লক্ষ্মীমণ্ডপ গ্রামের বাসিন্দা।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ থেকে জানা যায়, কাহালু উপজেলার লক্ষ্মীমণ্ডপ গ্রামে ১৯৯৬ সালের ৮ আগস্ট পুকুর নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে মজিবর রহমান নামের এক কৃষককে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ১৯ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা করা হয়। পরে পুলিশ ১৮ জনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। মামলা চলাকালে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। বাকি ১৬ আসামির মধ্যে ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাননি আদালত।