ইটভাটায় অভিযানে যাওয়ার পথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলা, সংঘর্ষে আহত ২০

ইটভাটা উচ্ছেদের অভিযানে গেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গাড়ি ভাঙচুর করে শ্রমিকেরা। আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কক্সবাজারের চকরিয়ার কাকারা ইউনিয়নেছবি: প্রথম আলো

বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাইতংয়ে ইটভাটা উচ্ছেদে অভিযানে যাওয়ার পথে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ইটভাটার শ্রমিকসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, বিজিবির ওপর হামলা এবং ট্রাকসহ ৬টি গাড়িও ভাঙচুর হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল নয়টার দিকে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের মানিকপুর সড়কে এ ঘটনার সূত্রপাত হয়। ওই সময় ইটভাটার শ্রমিকেরা ওই সড়কে এসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বাধা দেন। এসব নিয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে বাহিনীর সদস্যদের সংঘর্ষ হয়। বেলা দেড়টা পর্যন্ত এ সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়া চলতে থাকে। শেষ পর্যন্ত অভিযান না চালিয়েই ফিরে আসে পরিবেশ অধিদপ্তর।

স্থানীয় সূত্র জানায়, বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাইতং ও চকরিয়া উপজেলার মানিকপুর এলাকায় অন্তত ৩১টি অবৈধ ইটভাটা রয়েছে। পাহাড়ি এলাকায় আইন না মেনেই নির্মাণ করায় পরিবেশ অধিদপ্তর এসব ভাটা উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতেই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেজওয়ান উল ইসলাম ও লামা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুবায়েত আহমেদের নেতৃত্বে পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অভিযান শুরু করে। তবে চকরিয়া উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের বাদশার টেক এলাকায় পৌঁছালে ইটভাটার শ্রমিকেরা জড়ো হয়ে বাধা দেন।

শ্রমিকেরা সড়কে শুয়ে ইটভাটা উচ্ছেদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন। এ সময় সেনাবাহিনী, র‍্যাব, বিজিবি ও পুলিশ সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা শ্রমিকদের সড়ক থেকে সরিয়ে দিতে চাইলে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে বিজিবি ও পুলিশের ৭-৮ জন ও ১২-১৩ জন শ্রমিক আহত হন। এ ঘটনায় ইটভাটার ৮ শ্রমিককে আটক করা হয়েছে।

শ্রমিকদের দাবি, ফাইতং এলাকার ইটভাটা ভেঙে ফেললে ১০ থেকে ১৫ হাজার শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়বেন। তাই শ্রমিকদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।

জানতে চাইলে লামা উপজেলার সহকারী ম্যাজিস্ট্রেট রুবায়েত আহমেদ বলেন, ইটভাটার মালিক ও শ্রমিকেরা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলা করেছেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাড়ি ভাঙচুর করেছেন। এতে অনেকে আহত হয়েছেন। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।