সাতক্ষীরা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি আহত, পতাকা বৈঠক করতে চিঠি

সীমান্ত
প্রতীকী ছবি

সাতক্ষীরায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে এক বাংলাদেশি আহত হয়েছেন বলে স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করেছেন। সদর উপজেলার ঘোনা সীমান্তে গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য আজ বৃহস্পতিবার বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) পক্ষ থেকে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানিয়ে বিএসএফকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

আহত ব্যক্তির নাম হাবিবুর রহমান (৩০)। তিনি উপজেলার ঘোনা গ্রামের ইয়াকুব আলীর ছেলে।

স্থানীয় লোকজন বলেন, তাঁরা আজ ভোরে ঘটনা সম্পর্কে জানতে পারেন। হাবিবুরসহ কয়েকজন ঘোনা সীমান্তের এলাকা থেকে গতকাল রাতে ভারতীয় সীমানার মধ্যে ঢুকে কাঁটাতারের বেড়ার কাছে যায়। গতকাল রাত ২টার দিকে বিএসএফ সদস্যরা তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে হাবিবুরের দুই চোখ ও মুখ জখম হয়। এ সময় সঙ্গে থাকা অন্যরা তাঁকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে পরিবারের লোকজন তাঁকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

ঘোনা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য নীলকান্ত মণ্ডল বলেন, খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছেন যে হাবিবুরসহ কয়েকজন রাতে ভারত সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ার কাছে গেলে বিএসএফের পাকিরডাঙ্গা ক্যাম্পের সদস্যরা গুলি করে। এতে তিনি আহত হন। কিন্তু হাবিবুর কেন সেখানে গিয়েছিলেন, তা জানতে পারেননি তিনি।

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের এক জ্যেষ্ঠ নার্স বলেন, দুই চোখে ও মুখমণ্ডলে জখম নিয়ে ওই যুবককে আজ সকাল ৬টা ২০ মিনিটে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়।

হাবিবুর রহমানের মা হামেদা খাতুন বলেন, তাঁরা ছেলেকে খুলনা নিয়ে এসেছিলেন চিকিৎসার জন্য। কিন্তু ছেলের অবস্থা ভালো না। এ জন্য তাঁকে ঢাকায় নিয়ে যাবেন।

সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আশরাফুল হক মুঠোফোনে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে বলেন, ঘটনাটি শোনার পর তাঁরা গুলিবিদ্ধ হাবিবুরের অবস্থান নিশ্চিত করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু তাঁকে পাচ্ছেন না। ধারণা করছেন, আইনি কারণে তাঁরা গোপনে আছেন। তবে ঘটনা কী ঘটছে, তা জানার জন্য ভারতের বশিরহাট মহকুমার বিএসএফের পাকিরডাঙ্গা ক্যাম্পে পতাকা বৈঠকের জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। পতাকা বৈঠক হওয়ার পর বিস্তারিত জানাতে পারবেন।