হাতির পিঠে চড়ে এলেন বর

হাতির পিঠে চড়ে বিয়ে করতে যাচ্ছেন রাসেল মাহমুদ। শুক্রবার দুপুরে নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার বেলঘরিয়া গ্রামে
ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলায় হাতির পিঠে চড়ে বিয়ে করতে এসেছেন এক বর। আজ শুক্রবার দুপুরে হাতির পিঠে বর দেখতে বিয়েবাড়িতে ভিড় করেন উৎসুক মানুষ।

বরের নাম রাসেল মাহমুদ (২৮)। তিনি ধামইরহাট উপজেলার উত্তর চকযদু গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে। কনের নাম সাদিয়া খাতুন ওরফে হিমু (১৯)। তিনি একই উপজেলার বেলঘরিয়া গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিকের মেয়ে।

বর-কনের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুই পরিবারের অভিভাবকেরা কয়েক দফা বৈঠকের পর রাসেল ও সাদিয়ার আজ বিয়ের অনুষ্ঠান। দিনটি স্মরণীয় করে রাখতে হাতির পিঠে চড়ে বিয়ে করতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন রাসেল। ৪০ হাজার টাকা দিয়ে এক দিনের জন্য হাতি ভাড়া করেন। আজ সকালে বরের বাড়িতে চলে আসে হাতি। সেই হাতির গায়ে আলপনা এঁকে ও রঙিন কাপড় জড়িয়ে আকর্ষণীয় করে সাজানো হয়। আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাসেল হাতির পিঠে এবং বরযাত্রীরা গাড়িতে করে কনের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বেলঘরিয়া গ্রামে কনের বাড়িতে আসেন তাঁরা। হাতির পিঠে চড়ে বর আসার খবর শুনে আশপাশে লোকজন ভিড় করেন। ভিড় সামলাতে কনের বাড়ির লোকজনকে হিমশিম খেতে হয়। পরে দুই পরিবারের মুরব্বিদের উপস্থিতিতে রাসেল ও সাদিয়ার বিয়ে সম্পন্ন হয়।

রাসেল মাহমুদ স্থানীয় সামাজিক সংগঠন ‘মানবসেবা’-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। তাঁর সংগঠনটি বৃক্ষরোপণে বিশেষ অবদান রাখায় জাতীয় পুরস্কার অর্জন করে। চলতি বছরের ৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে রাসেল মাহমুদ ওই পুরস্কার গ্রহণ করেন।

রাসেল মাহমুদ বলেন, ‘আমার দাদা মরহুম আবদুল আজিজ ব্রিটিশ আমলে হাতির পিঠে চড়ে বিয়ে করতে গিয়েছিলেন। দাদা প্রায়ই আমাকে সেই গল্প বলতেন। তিনি চাইতেন, আমিও যেন হাতির পিঠে চড়ে বিয়ে করতে যাই। দাদা বেশ কয়েক বছর আগে মারা গেছেন। দাদার ইচ্ছা পূরণ করতেই মূলত হাতির পিঠে চড়ে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ ছাড়া বিয়ের দিনটি স্মরণীয় করে রাখতে এ উদ্যোগ গ্রহণে বেশি উৎসাহিত ছিলাম।’

কনের বাবা আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, বিয়ের দিন একটা বিশেষ আনন্দের দিন। হাতির পিঠে চড়ে জামাতা আসায় সেই আনন্দ আরও বেড়ে গেছে। বিয়েবাড়িতে আসা আত্মীয়স্বজন ছাড়াও এলাকার লোকজন বিষয়টি দেখে বেশ আনন্দ উপভোগ করেছেন।