শরীয়তপুরে ছয় বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে তরুণ আটক

শিশু ধর্ষণপ্রতীকী ছবি: প্রথম আলো

শরীয়তপুরে ছয় বছরের একটি শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। আজ শনিবার বিকেলে জাজিরা উপজেলার একটি গ্রামে ধর্ষণের এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে স্থানীয় বাসিন্দারা পিটুনি দিয়ে পুলিশে দেন। শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জাজিরা থানা সূত্রে জানা যায়, শিশুটি জাজিরার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুশ্রেণির শিক্ষার্থী। আজ বিকেলে প্রতিবেশী এক তরুণ মুঠোফোনে গেম খেলতে দেওয়ার কথা বলে শিশুটিকে একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন। শিশুটির চিৎকারে স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে উদ্ধার করেন। এ সময় ওই তরুণকে আটক করে স্থানীয় বাসিন্দারা পিটুনি দেন। এরপর শিশু ও অভিযুক্ত তরুণকে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান এলাকাবাসী। পরে পুলিশ অভিযুক্ত তরুণকে আটক করে।

পুলিশ জানায়, শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য আজ সন্ধ্যায় শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে আনা হয়। সেখানে তার চিকিৎসা চলছে। পিটুনিতে আহত তরুণকে পুলিশি পাহারায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

শিশুটির বাবা সন্ধ্যায় শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার স্ত্রী সন্তানসম্ভবা। যে কারণে সব সময় মেয়েকে চোখে চোখে রাখতে পারছিল না। দুপুরে খাওয়ার পর মেয়েটি বাড়ির পাশে খেলছিল। মোবাইলে গেম খেলতে দেওয়ার কথা বলে ওই ছেলে আমার ছোট্ট মেয়েটাকে তার ঘরে নিয়ে যায়।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের চোখের সামনে বাচ্চাটা হাসপাতালের বিছানায় ছটফট করছে। বাবা হয়ে তা কীভাবে সহ্য করব?’

শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক লিমিয়া সাদিনা প্রথম আলোকে বলেন, ‘যৌন নির্যাতনের শিকার একটি শিশুকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। আমরা তার চিকিৎসা শুরু করেছি। তার শারীরিক অবস্থা বোঝার জন্য কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে।’

জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালেহ আহাম্মদ প্রথম আলোকে বলেন, শিশুটির পরিবার মামলা করার পর আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।