সীতাকুণ্ড উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিন প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত

চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রার্থী মহিউদ্দিন আহমেদ।
ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নির্ধারিত ভোট না পাওয়ায় এক চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ তিন প্রার্থী জামানত হারাচ্ছেন। তাঁরা হলেন চেয়ারম্যান প্রার্থী মহিউদ্দিন আহমেদ, নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হামিদা আক্তার ও শামীমা আক্তার।

ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, সীতাকুণ্ড উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন আরিফুল আলম চৌধুরী। তিনি ভোট পেয়েছেন ৬০ হাজার ১০৭টি। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মহিউদ্দিন আহমেদ জামানত হারাচ্ছেন। তিনি পেয়েছেন ১০ হাজার ৮৮৪ ভোট। ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন গোলাম মহিউদ্দিন। তিনি ভোট পেয়েছেন ৫৮ হাজার ৩২২টি।

নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হামিদা আক্তার।
ছবি: সংগৃহীত

তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জালাল আহমদ ভোট পেয়েছেন ১০ হাজার ৯১৮টি। ফলে জালাল আহমদ পরাজিত হলেও জামানত হারাবেন না। নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন শাহিনুর আক্তার। তিনি পেয়েছেন ৫৪ হাজার ৭৯২ ভোট। তাঁর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে অপর দুই প্রার্থী হামিদা আক্তার পেয়েছেন ৫ হাজার ৬৩৭ ভোট এবং শামীমা আক্তার পেয়েছেন ৮ হাজার ৮০৯ ভোট। ফলে তাঁরা জামানত হারাচ্ছেন।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন বলেন, সীতাকুণ্ডে মোট ভোটার ৩ লাখ ২৪ হাজার ২৪০ জন। এর মধ্যে ভোট পড়েছে ৭২ হাজার ৬৩০টি। অর্থাৎ ভোট পড়েছে মাত্র ২২ দশমিক ৪০ শতাংশ। নির্বাচন কমিশনের আইন অনুযায়ী, প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট যদি মোট প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশের কম হয়, তাহলে তাঁর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। হিসাব করে দেখা গেছে, মোট প্রদত্ত ভোট ৭২ হাজার ৬৩০–এর ১৫ শতাংশ ভোট হবে ১০ হাজার ৮৯৪টি। চেয়ারম্যান প্রার্থী মহিউদ্দিন আহমেদ, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হামিদা আক্তার ও শামীমা আক্তার নির্ধারিত ভোটের চেয়ে কম পাওয়ায় জামানত হারাচ্ছেন।

নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী শামীমা আক্তার।
ছবি: সংগৃহীত

জসিম উদ্দিন আরও জানান, এবার নির্বাচন কমিশনে প্রার্থী হওয়ার জন্য জামানত দিতে হয়েছে চেয়ারম্যান পদে এক লাখ ও নারীর ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭৫ হাজার টাকা।

এক কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ২ শতাংশ

নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, উপজেলার ৬২ নম্বর কেন্দ্র ঘোড়ামারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নারী ভোটকেন্দ্রে মোট ভোটার ছিলেন ৩ হাজার ৬০২ জন। সারা দিনে ভোট পড়েছে মাত্র ৭৬টি। ভোটের হারে সেটি মাত্র ২ দশমিক ১ শতাংশ।