সেতু দেবে বান্দরবান সদরের সঙ্গে রুমা ও থানচি উপজেলায় যানবাহন চলাচল বন্ধ

বান্দরবান-রুমা-থানচি সড়কের লাইমি পাড়ায় বেইলি সেতুটি দেবে যাওয়ায় বান্দরবান থেকে রুমা ও থানচির পথে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ভাঙা সেতুতে এইকটি টেম্পো ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছে। আজ দূপুর ১টায়। মংহাইসিং মারমা।

ভারী বৃষ্টির কারণে সেতু দেবে গিয়ে বান্দরবান জেলা সদরের সঙ্গে চিম্বুক পাহাড়, রুমা ও থানচি উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে জেলা সদর থেকে যাত্রীবাহী বাসসহ বড় যানবাহন ছেড়ে যায়নি বান্দরবান–থানচি–রুমা সড়কে। বৃষ্টিতে ওই সড়কের লাইমিপাড়া এলাকায় একটি বেইলি সেতু দেবে যাওয়ায় ওই পথে যানবাহন চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। তবে মোটরসাইকেল, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, অটোরিকশাসহ ছোট যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে বলে পরিবহনসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন।

সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোসলেহ উদ্দিন জানিয়েছেন, জেলা শহর থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে লাইমিপাড়া এলাকায় ১৯৮০–এর দশকে নির্মিত বেইলি সেতুটি গত রাতে ভারী বৃষ্টিতে এক পাশে দেবে গেছে। মেরামতের কাজ শুরু করা হবে।

পরিবহনের মালিক-শ্রমিকেরা জানিয়েছেন, আজ সকালে সেতু দেবে যাওয়ার বিষয়টি জানার পর যাত্রীবাহী বাস ও অন্যান্য বড় যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়। পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম বলেছেন, এমনিতে বৃষ্টিবাদলে রুমা ও থানচিমুখী যাত্রী কম। বৃষ্টিতে পাহাড়ি সড়কে চলাচলও ঝুঁকিপূর্ণ। সব দিক বিবেচনা করে আপাতত যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।

সেতু মেরামতে সময় বেশি দিন লাগলে দেবে যাওয়া সেতুর দুই পাশ থেকে বাস চালু করা হতে পারে।

সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী মোসলেহ উদ্দিন জানিয়েছেন, দেবে যাওয়া পুরোনো বেইলি সেতু মেরামতের কাজ শেষ করতে পাঁচ-ছয় দিন সময় লাগতে পারে। সেই সময়ে সেতুর এ–পাশের যানবাহন এ–পাশে এবং ও–পাশের যানবাহন ও–পাশে চলাচল করে যাতায়াত সচল করা ছাড়া উপায় নেই।