বাজার থেকে ফিরে দেখেন, মেঝেতে পড়ে আছে স্ত্রীর গলাকাটা লাশ
মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলায় লায়লা আরজু (৫৮) নামের এক গৃহবধূর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার দুপুরে উপজেলার বানিয়াজুরী ইউনিয়নের রাথুরা গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাড়ির গৃহকর্মী ও তাঁর স্বামীকে থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ।
নিহত লায়লা আরজু উপজেলার রাতুরা গ্রামের মো. সেকেন্দার আলীর স্ত্রী। এ দম্পতির এক ছেলে ও মেয়ে। সন্তানদের বিয়ে হওয়ায় তাঁরা অন্যত্র থাকেন। নিহত লায়লা আরজু দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন।
পুলিশ, নিহতের স্বজন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সন্তানেরা বিয়ে করার পর অন্যত্র থাকায় সেকেন্দার ও তাঁর স্ত্রী ওই বাড়িতে থাকতেন। তাঁদের সাংসারিক কাজে প্রতিবেশী সাইদা আক্তার ও তাঁর স্বামী আবদুল হালিম সহযোগিতা করতেন। আজ সকাল আটটার দিকে লায়লার স্বামী সেকেন্দার স্থানীয় বানিয়াজুরী বাজারে সবজি কিনতে যান। প্রায় এক ঘণ্টা পর বাড়িতে ফিরে দেখেন, মেঝেতে তাঁর স্ত্রীর গলাকাটা লাশ পড়ে আছে। খবর পেয়ে সকাল ১০টার দিকে ঘিওর থানা-পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাথুরা গ্রামে বানিয়াজুরী-ঘিওর সড়কের পাশে সেকেন্দার আলীর তিনতলা বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, দোতলার একটি কক্ষের মেঝেতে লায়লা আরজুর গলাকাটা রক্তাক্ত লাশ পড়ে আছে। ঘিওর থানা-পুলিশ ও ডিবি ঘটনাস্থলে তদন্ত করছে। উৎসুক এলাকাবাসী বাড়িটিতে ভিড় করছেন।
নিহত লায়লার স্বামী সেকেন্দার আলী প্রথম আলোকে বলেন, ক্যানসারে আক্রান্ত স্ত্রীকে বাসায় রেখে তিনি সকালে কাঁচাবাজার করতে বাড়ি থেকে বের হন। সকাল আটটার দিকে বাসায় এসে স্ত্রীর রক্তাক্ত লাশ মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন। তিনি আরও বলেন, কে বা কারা বাসায় ঢুকে তাঁর স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা করেছে।
ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, ওই নারীকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। বাড়ির গৃহকর্মী ও তাঁর স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।