দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে শ্বশুরবাড়িতে মিলল যুবকের লাশ

লাশ উদ্ধারপ্রতীকী ছবি

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে শ্বশুরবাড়ির বসতঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে এক যুবকের লাশ। স্থানীয় লোকজনের তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে কোম্পানীগঞ্জ থানার পুলিশ নিহত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে।

নিহত মো. মহিন উদ্দিন (৩৫) চট্টগ্রামের খুলশী থানার পূর্ব ফিরোজ শাহ কলোনির আবদুল মমিনের ছেলে। তিনি পেশায় একজন গাড়িচালক ছিলেন। আজ বুধবার সকালে নিহত ব্যক্তির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মহিন উদ্দিন প্রেম করে কোম্পানীগঞ্জের চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সুমি আক্তারকে (২০) বিয়ে করেন। তাঁদের সংসারে দুই বছর বয়সী একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। পারিবারিক কলহের জেরে কয়েক মাস আগে সুমি তাঁর স্বামীকে ছেড়ে ঢাকায় বাবার বাসায় চলে যান। কিন্তু স্বামী বিবাহবিচ্ছেদে অস্বীকৃতি জানান। ধারণা করা হচ্ছে, গত দুই-তিন দিন আগে মহিন উদ্দিন শ্বশুরের খালি বাড়িতে এসে তাঁদের বসতঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

বাসিন্দারা জানান, গতকাল বিকেলে স্থানীয় লোকজন মহিন উদ্দিনের শ্বশুরের বসতঘরের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় দুর্গন্ধ পান। পরে তাঁরা বিষয়টি পুলিশকে জানালে ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে নিহত মহিন উদ্দিনের লাশ উদ্ধার করে। উদ্ধার করা লাশটিতে এরই মধ্যে পচন ধরেছে।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মোহাম্মদ ফৌজুল আজিম বলেন, ওই ঘরে মহিনের শ্বশুরদের কেউ থাকেন না। আজ সন্ধ্যার দিকে বাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় নাকে দুর্গন্ধ লাগার পর এলাকার লোকজন থানায় খবর দেন। ‌পুলিশ গিয়ে শ্বশুরবাড়ির বসতঘরের ভেতর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় মহিনের লাশ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।