কুমিল্লায় খাবার হোটেলে মাদক বিক্রি, আটক ১২
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কুমিল্লার অংশে বিভিন্ন খাবার হোটেলে মাদক বেচাকেনা করার অপরাধে ১২ জনকে আটক করেছে র্যাব-১১। গতকাল শুক্রবার মধ্যরাত থেকে আজ শনিবার সকাল পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন খাবার হোটেলে অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করে র্যাব।
আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে ৭৭০ গ্রাম গাঁজা ও ১৬টি ইয়াবা বড়ি জব্দ করা হয়। হোটেলের মালিক-কর্মচারীরা ট্রাক, লরির চালক ও সহকারীদের কাছে ইয়াবা ও গাঁজা বিক্রি করেন—এমন তথ্যের ভিত্তিতে এ অভিযান চালানো হয় বলে জানায় র্যাব।
আটক ব্যক্তিরা হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার আইরল এলাকার বাবলু মিয়া (২৩), কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ছুপুয়া এলাকার বিল্লাল হোসেন (২২), একই এলাকার মো. হুমায়ুন হোসেন (২০), সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আলীপুর এলাকার মো. মুন্না হোসেন (২২), কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার মো. সাইফুল ইসলাম কামাল (১৯), একই এলাকার মো. কাওসার (২২), চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার শফিবাদ এলাকার মো. সোহাগ (২৫), কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার পানিপাড়া এলাকার মো. ফয়সাল (২০), একই এলাকার মো. শাহেদ হাসান (২০), চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শহীদপুর এলাকার ইমরান হোসেন বাবু (২৫), যশোর জেলার বাঘারপাড় এলাকার মো. সালমান হোসেন (১৯) ও এক শিশু রয়েছে।
আজ শনিবার বিকেলে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে র্যাব-১১-এর কোম্পানি কমান্ডার মাহমুদুল হাসান বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা বাড়ছে। হোটেলে যখন ট্রাক, লরিচালক ও সহকারীরা ভাত খেতে বসেন, তখন মালিক, ব্যবস্থাপক কিংবা খাবার পরিবেশনকারীরা চালকদের কাছে ইয়াবা ও গাঁজা বিক্রি করেন। ব্যাপারটা অনেকটা পান-সুপারি বিক্রির মতো। এসব মাদক সেবন করে চালক ও তাঁদের সহকারীরা নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। শুক্রবার মধ্যরাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ট্রাক, লরিচালক ও সহকারীদের কাছে ইয়াবা ও গাঁজা বিক্রির সময় হাতেনাতে ১২ জনকে আটক করা হয়। আটক ব্যক্তিদের চৌদ্দগ্রাম থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি ত্রিনাথ সাহা জানান, আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দায়ের শেষে আদালতে পাঠানো হয়েছে। কুমিল্লা আদালত পুলিশের পরিদর্শক মুজিবুর রহমান জানান, আদালতে আসা ১২ আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।