ছাত্রলীগ নেতার ইয়াবা সেবনের ভিডিও ফেসবুকে, বললেন ‘কৌতূহল’ থেকে চেখে দেখা

বরগুনার বেতাগী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি বি এম আদনান খালিদ
ছবি: সংগৃহীত

বরগুনার বেতাগী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি বি এম আদনান খালিদের ইয়াবা সেবনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। গত সোমবার রাত থেকে ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়ালে এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। ভিডিওটিতে দেখা যায়, আদনান একটি কক্ষে বসে ইয়াবা সেবন করছেন। পাশে বসে তাঁকে সহায়তা করছেন আরেকজন। ওই ব্যক্তির চেহারা ভিডিওতে দেখা না যাওয়ায় তাঁকে শনাক্ত করা যায়নি।

ইয়াবা সেবনের বিষয়টি প্রথম আলোর কাছে স্বীকার করেছেন ছাত্রলীগ সভাপতি আদনান নিজেই। তাঁর দাবি, তিন বছর আগে কৌতূহলের জায়গা থেকে বন্ধুদের সঙ্গে ইয়াবা সেবন করেছিলেন তিনি। তবে তিনি মাদকসেবী নন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেতাগী উপজেলা ছাত্রলীগের একাধিক নেতা-কর্মী প্রথম আলোকে বলেন, আদনান খালিদ শুধু মাদক সেবনই করেন না, তিনি মাদকের ব্যবসার সঙ্গেও জড়িত। নিজের রাজনৈতিক পরিচয় ও প্রভাব খাটিয়ে এসব কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। নিজেদের কমিটির মেয়াদ পাঁচ বছর পার হলেও সম্মেলন হতে দিচ্ছেন না।

উপজেলা আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ছাত্রলীগের সভাপতি বি এম আদনান খালিদ বেতাগী উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি প্রয়াত আলতাফ হোসেন বিশ্বাসের ছেলে। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে আলতাফ হোসেন আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হন। এর পর থেকেই আদনান খালিদের ছাত্রলীগের রাজনীতিতে উত্থান শুরু হয়। সর্বশেষ ২০১৭ সালে বেতাগী উপজেলা ছাত্রলীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে তিনি এক বছরের জন্য সভাপতি হন।

বি এম আদনান খালিদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘কীভাবে, কারা আমার একটি ভিডিও ছড়িয়ে দিয়েছে, আমি বলতে পারি না। তবে যে ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, সেটি তিন বছর আগের শীতের রাতের। আমরা কয়েক বন্ধু মিলে কৌতূহলের জায়গা থেকে এটা সেবন করে দেখেছিলাম। কিন্তু আমি মাদকসেবী নই। আমি যেকোনো পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত আছি। প্রয়োজনে আমাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হোক, আমি কোনো মাদক সেবন করি কি না।’

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল কবির বলেন, ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে বলে তিনি শুনেছেন। তবে ভিডিওটি এখনো দেখেননি। বিষয়টি তাঁরা গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন। যদি মাদক সেবনের সত্যতা পাওয়া যায়, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।