দূষণের কারণেই দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র চট্টগ্রামের হালদা নদীতে একের পর এক মা মাছ ও ডলফিনের মৃত্যু ঘটেছে। বিভিন্ন সরকারি সংস্থার প্রতিনিধি ও গবেষকদের অংশগ্রহণে এ নিয়ে অনুষ্ঠিত এক সমন্বয় সভায় এ কথা বলা হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হালদা রিভার রিচার্স অ্যান্ড ল্যাবরেটরি সেন্টারে এ সভার আয়োজিত হয়।
সভায় বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র সেন, হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম মশিউজ্জামান, বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ চট্টগ্রামের (বিসিএসআইআর) গবেষণা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট রাঙামাটির প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা খালেদ রহমান, ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ইশতিয়াক হায়দার প্রমুখ। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন গবেষণা সংস্থার বিজ্ঞানী এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হালদা রিভার রিসার্চ ল্যাবরেটরির সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থী ও গবেষকেরা উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষে হালদা রিভার রিসার্চ ল্যাবরেটরির প্রধান সমন্বয়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান মনজুরুল কিবরিয়া প্রথম আলোকে বলেন, হালদার জীববৈচিত্র্যের বিপর্যয় রোধ ও কারণ খুঁজে বের করতে সভা করা হয়েছে। সভায় মা মাছের মৃত্যুর কারণ, প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা ও করণীয় চিহ্নিত করা হয়েছে। সভায় গবেষকেরা দূষণকেই মাছ ও ডলফিনের মৃত্যুর জন্য দায়ী করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার থেকে কয়েকটি সংস্থা দূষণ প্রতিরোধের উপায় খুঁজতে হালদা নদীতে কাজ করবে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, বিভিন্ন খালের মাধ্যমে চট্টগ্রাম শহরের কারখানার বর্জ্য হাটহাজারীর হালদা নদীতে এসে পড়ছে। গবেষকেরা বলছেন, এসব বর্জ্যে হালদা দূষিত হওয়ায় এবার মা মাছ ডিম ছাড়েনি। গত ১২ দিনে ছয়টি মা মাছ ও দুটি ডলফিন মারা যাওয়ার ঘটনার পর আলোচনায় আসে নদীদূষণের বিষয়টি। এ ছাড়া দূষণের প্রভাবে হালদায় গত সাড়ে পাঁচ বছরে ৪৪টি ডলফিন ও ৩০টি মা মাছের অকালমৃত্যু ঘটে।