চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের একটি পদও শূন্য থাকবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

মানিকগঞ্জে স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। শুক্রবার বিকেলে সদর উপজেলার গড়পাড়া এলাকায়
ছবি: প্রথম আলো

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে পরামর্শ করে স্বাস্থ্য খাতে যেসব চিকিৎসক ও নার্সের বিভিন্ন জটিলতায় পদোন্নতি হচ্ছিল না, তা নিরসন করা হবে। তাঁদের দ্রুত সময়ের মধ্যেই পদোন্নতি দেওয়া হবে। এ ছাড়া সব শূন্য পদে নিয়োগের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের একটি পদও আর শূন্য বা খালি থাকবে না।

আজ শুক্রবার বিকেলে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গড়পাড়া এলাকায় সদর ও সাটুরিয়া উপজেলার মাঠপর্যায়ের স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, দেশে বর্তমানে ৩০ হাজার চিকিৎসক আছেন। এর মধ্যে তাঁর আমলেই ১৫ হাজার চিকিৎসককে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আগে নার্সের সংখ্যা ছিল ১৮ হাজার, এখন সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫ হাজারে।

স্বাস্থ্যকর্মীদের উদ্দেশে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের মানুষের মধ্যে বাল্যবিবাহ নিয়ে আলোচনা করতে হবে। বাল্যবিবাহই মা ও শিশুমৃত্যুর অন্যতম কারণ। কারণ, অল্প বয়সী শিশু যদি অন্তঃসত্ত্বা হয়, তাহলে তার মৃত্যুর ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। তাই এ বিষয়ে আপনাদের সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে হবে।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, একসময় কিডনি ও ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য ঢাকায় যেতে হতো। কিন্তু এখন আটটি বিভাগীয় পর্যায়ের হাসপাতালে প্রায় ৪ হাজার শয্যায় কিডনি, ক্যানসার ও হৃদ্‌রোগের চিকিৎসা দেওয়া হবে। এসব হাসপাতালের নির্মাণকাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে আছে। জেলা পর্যায়ের সব হাসপাতালে ১০ শয্যা আইসিইউ (নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্র) ও ১০ শয্যার ডায়ালাইসিসের ব্যবস্থা করা হচ্ছে, যা চলতি বছরই সম্পন্ন হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

মানিকগঞ্জের সিভিল সার্জন মোয়াজ্জেম আলী খান চৌধুরীর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ মো. জাকির হোসেন, কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক আরশ্বাদ উল্লাহ্, জেলা ডায়াবেটিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান, ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সুদেব কুমার সাহা, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ইসরাফিল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আফছার উদ্দিন সরকার, সদরের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মোহাম্মদ বাহাউদ্দিন, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) জেলা সভাপতি মো. লুৎফর রহমান প্রমুখ বক্তব্য দেন।