গুরুদাসপুরে পরিবেশকর্মীদের তৎপরতায় ২০টি বক উদ্ধারের পর অবমুক্ত
নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার চলনবিলে ধানখেতের মধ্যে ফাঁদ পেতে বক ধরছিলেন পাঁচ শিকারি। খবর পেয়ে আজ মঙ্গলবার ভোরে সেখান থেকে ২০টি বক উদ্ধার করে অবমুক্ত করেছেন পরিবেশকর্মীরা। এ সময় শিকারিরা সটকে পড়লেও তাঁদের পাতা সাতটি ফাঁদ ধ্বংস করা হয়েছে।
উপজেলা জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান বলেন, চলনবিলের পানিতে এখন ভাটির টান। খেত-খামারসহ বিল-জলাশয়গুলোতে মিলছে ছোট মাছ। এসব মাছ খেতে ঝাঁকে ঝাঁকে বকের দল উড়ে এসে পড়ছে জলাশয়ে। এসব বক ধরতে একশ্রেণির লোভী মানুষ ফাঁদ পেতে রাখছেন।
নাজমুল হাসান জানান, অন্য বকগুলোকে আকৃষ্ট করতে খেজুরপাতা, কলাপাতা, বাঁশের কঞ্চি ও একটি শিকারি বক দিয়ে বিশেষ কায়দায় ফাঁদ পাতা হয়। ফাঁদের ওপর বেঁধে রাখা বকটিকে শিকারিরা নড়াচড়া করান। ওই বকের নড়াচড়া দেখে বন্য বকগুলো এসে শিকারির ফাঁদে পড়ে।
উপজেলা জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সদস্যরা বলেন, আজ ভোরে উপজেলার চলনবিলবেষ্টিত খুবজীপুর ইউনিয়নের উত্তরপাড়া মাঠে এভাবে ফাঁদ পেতে বক শিকার করার খবর আসে তাঁদের কাছে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা সেখানে ছুটে যান। তাঁদের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যান শিকারিরা। পরে সেখান থেকে ২০টি বক উদ্ধার করে অবমুক্ত করা হয়। ধ্বংস করা হয় সাতটি ফাঁদ।
সংগঠনটির সহসভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, বছরের এ সময়টিতে বকসহ নানা প্রজাতির পাখির আগমন ঘটে বেশি। এ সুযোগে একশ্রেণির মানুষ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নানাভাবে এসব পাখি শিকারে মড়িয়া হয়ে ওঠে। গত এক মাসে তাঁরা প্রায় শতাধিক পাখি উদ্ধারের পর অবমুক্ত করেছেন। বন বিভাগ ও প্রশাসনের সচেতনতামূলক কার্যক্রম থাকলে পাখি শিকার অনেকটাই রোধ করা সম্ভব হবে।