ভূরুঙ্গামারীতে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় ৫ শিক্ষকসহ ছয়জন সাময়িক বরখাস্ত

প্রশ্নপত্র ফাঁস
প্রতীকী ছবি

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে গ্রেপ্তার নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের পাঁচজন শিক্ষক ও একজন পিয়নকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে ব্যবস্থাপনা কমিটি।

গত বৃহস্পতিবার তাঁদের সাময়িক বরাখাস্ত করা হয়। আজ রোববার বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমান প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সাময়িক বরখাস্ত হওয়া ছয়জন হলেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্রসচিব লুৎফর রহমান, শিক্ষক জোবাইর হোসেন, আমিনুর রহমান, হামিদুর রহমান, সোহেল আল মামুন ও পিয়ন সুজন মিয়া।

আরও পড়ুন

প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলা আছে কি না, জানতে চেয়ে গত বুধবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) দীপক কুমার দেব শর্মাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম। এর জবাব দেওয়ার শেষ দিন ছিল আজ রোববার। সন্ধ্যায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত  ইউএনও নোটিশের জবাব দেননি বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের একটি সূত্র।

এ ঘটনায় দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. কামরুল ইসলামের কাছে গতকাল শনিবার প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নেহাল উদ্দিন পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, গত বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ের ওই পাঁচজন শিক্ষক ও একজন পিয়নকে সাময়িক বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেয় বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপরা কমিটি।

আরও পড়ুন

দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের অধীন চলতি এসএসসি পরীক্ষায় ছয়টি বিষয়ের প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। অভিযোগ আছে, এই অপকর্মের নেতৃত্বে ছিলেন একজন কেন্দ্রসচিব, যিনি স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। ঘটনাটি গত মঙ্গলবার ধরা পড়ে। এরপর গত বুধবার চারটি বিষয়—গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, কৃষিশিক্ষা ও রসায়নের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। ইতিমধ্যে এসব পরীক্ষার নতুন তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। বাকি দুই বিষয় উচ্চতর গণিত ও জীববিদ্যার পরীক্ষা নতুন প্রশ্নপত্র ছাপিয়ে নির্ধারিত সময়েই নেওয়া হবে।

প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় গত মঙ্গলবার রাতে ভূরুঙ্গামারী থানায় একটি মামলা হয়। মামলায় উপজেলার নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্রের সচিব মো. লুৎফর রহমান, সহকারী শিক্ষক মো. জোবাইর হোসেন ও মো. আমিনুর রহমান, বিদ্যালয়টির অফিস সহকারী মো. আবু হানিফসহ অজ্ঞাতনামা ১০-১৫ জনকে আসামি করা হয়।

আরও পড়ুন

এরপর প্রথমে কেন্দ্রসচিব লুৎফর রহমান, শিক্ষক জোবাইর হোসেন ও আমিনুর রহমানকে এবং পরে শিক্ষক হামিদুর রহমান, সোহেল আল মামুন ও পিয়ন সুজন মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।

একপর্যায়ে দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত এবং ইউএনও দীপক কুমার দেব শর্মাকে কারণ দর্শানো নোটিশ প্রদান করা হয়। গঠন করা হয় দুটি তদন্ত কমিটি।

২৯ সেপ্টেম্বর রিমান্ডের শুনানি রয়েছে জানিয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি (তদন্ত) আজাহার আলী বলেন, পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছে কি না, তা জানতে গ্রেপ্তার ছয়জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

আরও পড়ুন