কক্ষে তালা, বারান্দায় বসে দাপ্তরিক কাজ সারলেন কলেজের নতুন অধ্যক্ষ
জামালপুরের ইসলামপুর সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফরিদ উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে অধ্যক্ষের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আজ রোববার কক্ষে ঢুকতে না পেরে বারান্দায় বসে দাপ্তরিক কাজ করেছেন নতুন যোগদান করা অধ্যক্ষ ছদরুদ্দিন আহমদ। এ ঘটনায় কলেজ ক্যাম্পাসে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
ছদরুদ্দিন আহমদ গত বুধবার ইসলামপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে পদায়িত হন। গত বৃহস্পতিবার তিনি ইসলামপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে আসেন। ওই দিন নবাগত অধ্যক্ষকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন শিক্ষক-কর্মচারীরা।
কলেজ সূত্রে জানা গেছে, আজ দুপুরে অধ্যক্ষ ছদরুদ্দিন আহমদ কলেজে গিয়ে দেখেন, অধ্যক্ষের কক্ষে তালা লাগানো। তিনি কর্মচারীদের তালা খুলতে বললে তাঁরা জানান, কক্ষের চাবি উপাধ্যক্ষের কাছে। এ সময় উপাধ্যক্ষের কক্ষও তালাবদ্ধ পাওয়া যায়। বাধ্য হয়ে নতুন অধ্যক্ষ বারান্দায় বসে কলেজের দাপ্তরিক কাজ সম্পন্ন করেন। খবর পেয়ে কলেজের শিক্ষার্থী, বহিরাগত ও গণমাধ্যমকর্মীরা সেখানে উপস্থিত হন।
অধ্যক্ষ ছদরুদ্দিন আহমদ মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘সখীপুর সরকারি মুজিব কলেজের অধ্যক্ষ ছিলাম। সেখান থেকে ইসলামপুর কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে পাঠানো হয়েছে। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী অধ্যক্ষ হিসেবে কলেজে যোগদান করেছি। কিন্তু ইসলামপুর কলেজে দীর্ঘদিন ধরে অধ্যক্ষ ছিলেন না। ফলে অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করছিলেন উপাধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। বুধবার যখন কলেজে আসি, তখনো উপাধ্যক্ষ ছিলেন না।’
অধ্যক্ষ ছদরুদ্দিন আরও বলেন, আজ তিনি কার্যালয়ে এসে দেখেন, অধ্যক্ষের কক্ষে তালা ঝুলছে। কর্মচারীদের মাধ্যমে জেনেছেন, চাবি নাকি হারিয়ে গেছে। বাধ্য হয়ে তিনি বারান্দায় বসে দাপ্তরিক কাজ সম্পন্ন করেছেন। অবশ্য অন্যভাবে তিনি জানতে পেরেছেন, ওই তালার চাবি উপাধ্যক্ষের কাছেই আছে। তাঁকে কক্ষে ঢুকতে না দেওয়া ও কক্ষে তালা দেওয়ার পেছনে নিশ্চয়ই কোনো কারণ আছে। তিনি পুরো বিষয় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন।
অভিযোগের বিষয়ে উপাধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দিন আহমেদের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। বিষয়বস্তু জানিয়ে তাঁকে খুদে বার্তা পাঠালেও তিনি সাড়া দেননি।