কুমিল্লায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নার্সের অবহেলায় প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ
কুমিল্লার হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুই নার্সের অবহেলার কারণে এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মৃত প্রসূতির স্বজন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
মৃত স্বপ্না আক্তার (২০) উপজেলার চিৎপুর গ্রামের ইয়াছিন মিয়ার স্ত্রী। ২৯ জুলাই হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রসবের সময় স্বপ্না গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাঁকে ঢাকা মেডিকের কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে তিনি মারা যান। পরে গতকাল স্বপ্না আক্তারের ননদ আকলিমা আক্তার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবদুস সালাম শিকদারের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন।
এ সম্পর্কে আবদুস সালাম শিকদার বলেন, তিনি অভিযোগ পেয়েছেন এবং বিষয়টি জেলা সিভিল সার্জনকে অবহিত করেছেন। ইতিমধ্যে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠনের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। অভিযুক্ত দুই নার্সের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতিও চলছে।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ জুলাই রাত দেড়টার দিকে প্রসববেদনা নিয়ে স্বপ্না আক্তারকে হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। দায়িত্বে থাকা নার্স নাছরিন আক্তার ও লিলি আক্তার অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দেন। তবে স্বজনেরা রাজি না হয়ে অন্যত্র নেওয়ার চেষ্টা করলে তাঁরা দুজন বাধা দেন। ২৯ জুলাই সকাল ছয়টার দিকে জোরপূর্বক স্বাভাবিক প্রসব করানো হয়। এতে স্বপ্নার জরায়ু ছিঁড়ে গিয়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ শুরু হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে ২৩ দিন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকার পর গতকাল ভোর পাঁচটার দিকে স্বপ্না মারা যান।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে নার্স নাছরিন আক্তার ও লিলি আক্তার বলেন, স্বাভাবিক প্রসবের সময় রোগীর অবস্থা খারাপ হয়ে যাওয়ায় এ ঘটনা ঘটে। এখানে অবহেলার কোনো বিষয় নেই।
হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় মৌখিক অভিযোগ পেয়েছেন। লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।