বিএনপি–জামায়াত আবার হত্যাযজ্ঞের নাটকে নেমেছে: আইনমন্ত্রী

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নে নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য দিচ্ছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। শুক্রবার বিকেলেছবি: সংগৃহীত

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি-জামায়াত আবারও হত্যাযজ্ঞের নাটকে নেমেছে। তারা ঢাকা এয়ারপোর্ট রেলস্টেশন থেকে তেজগাঁও রেলস্টেশনে যাওয়ার পথে একটা ট্রেনের বগিতে আগুন লাগিয়ে চারজনকে হত্যা করেছে। দুঃখের বিষয়, নিষ্পাপ শিশুও তাদের কাছে নিরাপদ না।’

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘যারা এই নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছেন, আপনারা সাবধান হয়ে যান। যাঁরা এই হরতাল-অবরোধ-অসহযোগ ডেকেছেন, সাবধান হয়ে যান। এই দেশে আইন আছে, আইনের শাসন আছে। আপনারা যা করছেন, তা রাষ্ট্রদ্রোহ। এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে আবার বাংলাদেশের মানুষ লড়বে, বাংলাদেশের মানুষ আবার জাগ্রত হবে।’

আনিসুল হক আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যদি ষড়যন্ত্র হয়, সেই ষড়যন্ত্র মানে কিন্তু ঘরের ভেতরে ষড়যন্ত্র। আমার বুকের ভেতরে ষড়যন্ত্র। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এই বিএনপি-জামায়াত কিন্তু ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। ওনাদের (বিএনপি) একজন আছে, লন্ডনে বইসা হুকুম দেয়, আপনাদের ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য। এই হুকুমে আপনারা ভয় পাইয়েন না। আমাদের সারা বিশ্বের কাছে প্রমাণ করতে হবে, জনগণ নির্বাচন চায়।’

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর নাম এই দেশ থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল। রাজাকার আলবদরদের প্রধানমন্ত্রী-মন্ত্রী বানানো হয়েছিল। যারা বাংলাদেশের মানুষকে ক্যু করে অত্যাচার করেছে, যারা বাংলাদেশের মানুষের রক্তের ওপর হোলি খেলেছিল, সেই মানুষদের এনে পুনর্বাসিত করা হয়েছিল।’ তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে জয়লাভ করার পর এই দুঃশাসনের অবসান হয়েছিল। আপনারা দেখেছেন, ২০০১ সালের এক বিতর্কিত নির্বাচনে আবার যখন বিএনপি এসেছিল, তখন আবার সেই দুঃশাসন শুরু হয়েছিল।’

আনিসুল হক বলেন, ২০০৯ সালে শেখ হাসিনার সরকার গঠন করার পর বাংলাদেশ উন্নয়নের মুখ দেখেছে। যেখানে বিএনপি-জামায়াত সারা বিশ্বে বাংলাদেশকে পরিচিত করিয়েছিল, তলাবিহীন ঝুড়ি ও মিসকিনের দেশে, সেই বাংলাদেশকে শেখ হাসিনা সারা বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচয় করিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা চাই অগ্রগতি, আমরা চাই প্রগতি। সে জন্যই আমাদের প্রয়োজন শেখ হাসিনার। আমরা অভাব থেকে মুক্তি পেতে চাই, মাথার উপরে ঘরে চাল চাই, জননেত্রী শেখ হাসিনা সেটাই দিয়েছেন।’