ঝালকাঠিতে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ছাত্রলীগের নেতাসহ আহত ১০

ঝালকাঠিতে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সদর হাসপাতালে
ছবি: প্রথম আলো

ঝালকাঠিতে পূর্ববিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান খান ওরফে মাইনুলসহ (৩০) উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে শহরের জেলেপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহত ব্যক্তিদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় কামাল সরদার (৫০), মনির হোসেন (৪৮), ইব্রাহিম সরদার (৪৬) নামের তিন ভাইকে চিকিৎসার জন্য বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান খান ও আরিফ খানকে (৩৫) ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গরু পালন নিয়ে ছাত্রলীগের নেতা আতাউরের পরিবারের সঙ্গে জেলেপাড়া এলাকার ইব্রাহিম সরদারের পরিবারের বিরোধ দীর্ঘদিনের। এ বিরোধের জেরে উভয় পক্ষের মধ্যে আগেও পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও মারামারি ঘটনা ঘটেছে। এরই জেরে আজ সন্ধ্যায় শহরের জেলেপাড়া এলাকার মৃত কদম আলী সরদারের বাড়ির সামনে তাঁর ছেলে মনির ও কামাল সরদারের সঙ্গে ছাত্রলীগের নেতা আতাউরের বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আতাউরের অনুসারীরা মনিরের ওপর হামলা করেন। পরে মনিরের পক্ষের লোকেরা আতাউরের অনুসারীদের ওপর হামলা করলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন।

মনির হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘ছাত্রলীগের নেতা আতাউরের নেতৃত্বে আমাদের পরিবারের ওপর হামলা করা হয়। তাঁরা আমাকেসহ আমার ভাইদের কুপিয়ে জখম করেছেন।’

এ বিষয়ে ছাত্রলীগের নেতা আতাউর রহমান খান বলেন, ‘সরদার পরিবারের ছেলেদের হামলায় আমিসহ আমাদের একাধিক ছেলে আহত হয়েছে।’

ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সুলতানা সনিয়া বলেন, আহত কয়েকজনকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। গুরুতর আহত তিনজনকে বরিশালে পাঠানো হয়েছে।

ঝালকাঠির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রশান্ত কুমার দে বলেন, সামান্য বিষয় নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। আহত ব্যক্তিদের ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার সময় একটি পক্ষ ব্যাপক লোকজন জড়ো করে। পুলিশ বহিরাগতদের বের করে দিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে।