জামালপুরে সাবেক ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা, সাতজন আটক

মো. জহুরুল হক
ছবি: সংগৃহীত

জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার জোড়খালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক এক সদস্যকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত একটার দিকে উপজেলার ফুলজোড় এলাকায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আজ রোববার সকাল পর্যন্ত এ ঘটনায় পুলিশ সাতজনকে আটক করেছে।

নিহত মো. জহুরুল হক (৫৭) উপজেলার জোড়খালী ইউনিয়নের ফুলজোড় এলাকার মৃত আশরাফ হোসেনের ছেলে। তিনি ওই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য ছিলেন। পূর্বশত্রুতার জেরে এ হত্যাকাণ্ড বলে ধারণা করছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাত একটার দিকে জহুরুল হক উপজেলার আটাবাড়ী বাজার থেকে নিজের মোটরসাইকেল চালিয়ে বাড়িতে ফিরছিলেন। এ সময় তাঁর বাড়ির কাছেই সড়কে দুর্বৃত্তরা তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়। প্রথমে স্থানীয় লোকজন সড়কে একটি মোটরসাইকেল পড়ে থাকতে দেখেন। পরে পাশে তাঁর লাশও দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০১৭ সালের দিকে জহুরুল হক ইউপি সদস্য ছিলেন। ওই সময় থেকে স্থানীয় একটি পরিবারের সঙ্গে তাঁর বিরোধ চলছিল। ওই সময়ে তিনি একটি জোড়া খুনের মামলার আসামিও ছিলেন। পূর্বশত্রুতার কারণেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে।

জামালপুরের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (মাদারগঞ্জ-মেলান্দহ সার্কেল) স্বজল কুমার সরকার প্রথম আলোকে বলেন, ওই ইউপি সদস্য রাতে বাড়িতে ফেরার পথে এ ঘটনা ঘটে। তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পূর্ববিরোধের জেরেই এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। তারপরও হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি নিয়ে পুলিশের একাধিক দল মাঠে রয়েছে। তদন্তের মাধ্যমে হত্যার সঠিক কারণ জানা যাবে।

স্বজল কুমার সরকার বলেন, এ ঘটনায় গতকাল রাত থেকে আজ রোববার সকাল পর্যন্ত পুলিশ অভিযান চালিয়ে সাতজনকে আটক করেছে। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। পাশাপাশি থানায় মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।