টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ নেতা প্রার্থী হয়েছেন জেপি থেকে

তারেক শামস খান
ছবি: সংগৃহীত

দাপটের সঙ্গে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন। ৫ আগস্টের পর চলে যান আত্মগোপনে। পরবর্তী সময়ে গ্রেপ্তার হন। কারাগার থেকে বের হয়ে সেই আওয়ামী লীগ নেতা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য জাতীয় পার্টির (জেপি) প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

রাতারাতি দলবদল করা এই নেতার নাম তারেক শামস খান ওরফে হিমু। তিনি কার্যক্রম নিষিদ্ধঘোষিত দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের টাঙ্গাইল জেলা শাখার সহসভাপতি।

টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর-দেলদুয়ার) আসন থেকে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তারেক শামস। তিনি গতকাল সোমবার টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন বলে জানিয়েছে জেলা নির্বাচন অফিস ও স্থানীয় সূত্র।

স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, তারেক শামস নব্বইয়ের দশকে ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের রাজনীতি করতেন। পরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সদস্য হন। নিজ এলাকা টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর- দেলদুয়ার) আসনে ২০০৮ সাল থেকে প্রতিটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেন।

৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্য নেতা-কর্মীদের মতো তারেক শামসও আত্মগোপনে চলে যান। তাঁর বিরুদ্ধে নাগরপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মিছিলে হামলার অভিযোগে থানায় মামলা হয়। হঠাৎ ফেসবুকে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) সভাপতি আন্দালিভ রহমানের সঙ্গে বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার ছবি দেখা যায়। পরে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। গত ১৪ জুলাই দেশে ফেরার পর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পুলিশ তাঁকে আটক করে নাগরপুর থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। প্রায় এক মাস জেলহাজতে থাকার পর জামিনে মুক্ত হন। তবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর দল জেপির হয়ে।

জাতীয় পার্টি থেকে নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রসঙ্গে তারেক শামস মঙ্গলবার বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, আওয়ামী লীগ তাঁর ওপর অনেক অবিচার করেছে। জেলা আওয়ামী লীগে তাঁকে সহসভাপতি পদ থেকে অপসারণ করে সেখানে সাবেক প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলামকে (টিটু) স্থলাভিষিক্ত করেছিল।

তবে আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, তারেক শামসকে দলীয় পদ থেকে অপসারণ করা হয়নি। তিনি এখনো পদে রয়েছেন।