টেকনাফে রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে তরুণকে গুলি করে হত্যা

রোহিঙ্গা শিবিরপ্রথম আলো ফাইল ছবি

কক্সবাজারের টেকনাফে রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে কথা–কাটাকাটির জেরে মো. আলমগীর (১৮) নামের এক রোহিঙ্গা তরুণকে গুলি করে হত্যা করেছে অন্য এক রোহিঙ্গা। আজ সোমবার দুপুরে নয়াপাড়া রেজিস্টার্ড আশ্রয়শিবিরের ডি ব্লকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আলমগীর ডি ব্লকের বাসিন্দা মৃত মোহাম্মদ হারেছের ছেলে।

নয়াপাড়া ১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) ক্যাম্প ইনচার্জ পরিদর্শক নূরে আযম প্রথম আলোকে বলেন, ডি ব্লকের মো. আলমগীরের সঙ্গে সি ব্লকের রোহিঙ্গা যুবক নুরুল আলমের কথা–কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে নুরুল আলম তাঁর হাতে থাকা ওয়ান শুটারগান দিয়ে আলমগীরের বুকে গুলি করে পালিয়ে যান।

গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আলমগীরকে স্থানীয় জিকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে লাশটি টেকনাফ মডেল থানা–পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

আশ্রয়শিবিরের কয়েকজন রোহিঙ্গা নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, শিবিরসংলগ্ন পাহাড়ে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা আস্তানা গড়ে তুলেছে। তাদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্রসহ নানা ধরনের অস্ত্র রয়েছে। তারা শিবিরের বাসিন্দাদের অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করছে। কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে।

টেকনাফ মডেল থানার ওসি (তদন্ত) হিমেল রায় প্রথম আলোকে বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।