রোহিঙ্গা কিশোরকে ঘর থেকে নিয়ে গুলি করে হত্যা করল আরসা

লাশ
প্রতীকী ছবি

কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী আশ্রয়শিবিরে (ক্যাম্প-৮) মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান স্যালভেশন আর্মির (আরসার) সন্ত্রাসীরা ঘর থেকে তুলে নিয়ে গুলি করে মো. ইউসুফ (১৬) নামের এক রোহিঙ্গা কিশোরকে হত্যা করেছে। সে ওই আশ্রয়শিবিরের এইচ-১৭ ব্লকের হামিদ হোসেনের ছেলে।

গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে আশ্রয়শিবিরের ডব্লিউ এ-২৭ ব্লকের কাছে এই হত্যার ঘটনা ঘটে।

রোহিঙ্গা নেতারা বলেছেন, নিহত ইউসুফ মিয়ানমারের আরেক সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান রোহিঙ্গা সলিডারেটি অর্গানাইজেশনের (আরএসও) সদস্য ছিল। আরসার সদস্যদের বিরুদ্ধে তথ্য সংগ্রহ করে আরএসওর কাছে সরবরাহের অভিযোগে গতকাল সন্ধ্যায় ঘর থেকে তাকে তুলে নেওয়া হয়।

আরও পড়ুন

এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেন আশ্রয়শিবিরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক ও অতিরিক্ত ডিআইজি মো. ইকবাল। তিনি বলেন, গতকাল সন্ধ্যায় আরসার সন্ত্রাসীরা ক্যাম্পের ভেতরে রোহিঙ্গা কিশোর ইউসুফকে গুলি করে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে এপিবিএনের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে গুলিবিদ্ধ কিশোরকে উদ্ধার করে আশ্রয়শিবিরের একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। এ সময় চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সন্ত্রাসীদের ধরতে আশ্রয়শিবিরে অভিযান চালানো হচ্ছে।

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, রাতে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ নিহত কিশোরের লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে। গুলিতে ইউসুফের মৃত্যু হয়েছে। তার পিঠে গুলি লাগে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত কিশোর বালুখালী আশ্রয়শিবিরে (ক্যাম্প-৮ পশ্চিম) রোহিঙ্গাদের পরিচালিত হাফিজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র ছিল। আরসাবিরোধী সোর্স সন্দেহে ইউসুফকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

পুলিশ ও রোহিঙ্গা নেতাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ৬ মাসে রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ১৭ জন রোহিঙ্গা মাঝি, ১৮ জন আরসা সদস্য, ২ জন আরএসও সদস্য, ১ জন স্বেচ্ছাসেবক ও অন্যরা সাধারণ রোহিঙ্গা।