সুনামগঞ্জের সাবেক এমপি মানিকের দুই দিনের রিমান্ড
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় করা মামলায় সুনামগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) মুহিবুর রহমান মানিকের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ সোমবার সুনামগঞ্জের দ্রুত বিচার আদালতের বিচারক নির্জন কুমার মিত্র শুনানি শেষে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে তাঁর ১০ দিনের রিমান্ড চেয়েছিল পুলিশ।
মুহিবুর রহমানের বাড়ি ছাতক উপজেলার আমেরতৈল গ্রামে। তিনি সুনামগঞ্জ-৫ (ছাতক ও দোয়ারাবাজার) আসন থেকে পাঁচবার নির্বাচিত এমপি।
সুনামগঞ্জের সরকারি কৌঁসুলি খায়রুল কবির রিমান্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, একই মামলায় মুহিবুর রহমান ছাড়া আরও ৩২ আসামিকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়েছিল। আদালত শুনানি শেষে মামলার এজাহারভুক্ত আরও দুই আসামি তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন ও জেলা ছাত্রলীগের নেতা রিগ্যান আহমেদের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বাকি ৩০ জনকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছেন। এই ৩০ জনের নাম মামলার এজাহারে ছিল না।
মুহিবুর রহমানকে গত ৮ অক্টোবর ঢাকার বসুন্ধরা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন তাঁকে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় আনা হয়। সদর মডেল থানায় দ্রুত বিচার আইনে দায়ের করা ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ১০ অক্টোবর তাঁকে আদালতে হাজির করে পুলিশ।
মুহিবুর রহমানের আইনজীবী আবদুল হামিদ বলেন, ‘আমরা তাঁর (মানিক) বয়স ও শারীরিক অসুস্থতা বিবেচনায় জামিনের আবেদন করেছিলাম। একই সঙ্গে রিমান্ড যাতে নামঞ্জুর হয় সে আবেদনও করেছিলাম। আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর এবং জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন।’
গত ৪ আগস্ট সুনামগঞ্জ পৌর শহরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ২ সেপ্টেম্বর সদর মডেল থানায় জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার বাসিন্দা হাফিজ আহমদ নামের এক ব্যক্তি দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা করেন। বাদীর ভাই শিক্ষার্থী জহুর আহমদ হামলার ওই দিনের ঘটনায় আহত হয়েছিলেন। এই মামলায় মুহিবুর রহমান মানিকসহ ৯৯ জনকে আসামি করা হয়। অজ্ঞাতপরিচয় আসামি আছেন আরও ১৫০ থেকে ২০০ জন।