চট্টগ্রাম নগরে বেলা সাড়ে ৩টার মধ্যে ৮০ শতাংশ বর্জ্য অপসারণ, দাবি মেয়রের
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, আজ সোমবার বেলা সাড়ে তিনটার মধ্যে কোরবানির বর্জ্য ৮০ শতাংশ অপসারণ করা হয়েছে। বর্জ্য পরিষ্কারের জন্য সিটি করপোরেশনের কর্মীরা কাজ করে যাচ্ছেন।
পবিত্র ঈদুল আজহায় কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম পরিদর্শনের সময় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী এ তথ্য জানান। তিনি নগরের আলমাস মোড়ে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনের সময় মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ৪১টি ওয়ার্ডকে ৬টি অঞ্চলে ভাগ করে ছয় কাউন্সিলরের তত্ত্বাবধানে নেওয়া হয়েছে। সকাল থেকেই সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা বিভাগের ৪ হাজার ৭০০ কর্মী বর্জ্য পরিষ্কারের কাজ শুরু করেন। এসব বর্জ্য সরিয়ে নেওয়ার জন্য ৩২২টি গাড়ি কাজ করছে। আরও রয়েছে পানির সাতটি ভাউজার। বিকেল পাঁচটার মধ্যে পুরো নগরের বর্জ্য অপসারণই এখন তাঁদের মূল লক্ষ্য।
আজ সকালে ঈদের জামাত শেষে অলিগলিতে গরু-ছাগল কোরবানি শুরু হয়। এরপর সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা ভ্যান, টমটম, ট্রাক ও কনটেইনার ট্রাকে করে বর্জ্য সংগ্রহের কাজে নেমে পড়েন। সকালে নগরের কাজীর দেউড়ি, এ কে খান, দেওয়ানহাট, মুরাদপুর, ২ নম্বর গেট, লালখান বাজার ও জামালখান এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কোরবানিদাতারা কোরবানি শেষে সৃষ্ট বর্জ্য নির্দিষ্ট স্থানে রেখে দিচ্ছেন। সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা তা এসে নিয়ে যাচ্ছেন। অবশ্য দুপুরে নগরের মূল সড়কের কিছু জায়গায় কোরবানির বর্জ্য দেখা গিয়েছিল।
মেয়রের সঙ্গে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিদর্শন করেন সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দিন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মোবারক আলী, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার লতিফুল হক কাজমি, কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব প্রমুখ।
বর্জ্য ব্যবস্থাপনা স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি মোবারক আলী প্রথম আলোকে জানান, বিকেল ৪টা পর্যন্ত তাঁরা ৮৫ শতাংশ বর্জ্য সংগ্রহ করেছেন। বিকেলে যাঁরা কোরবানি দিয়েছেন, তাঁদের বর্জ্য সংগ্রহে কাজ চলছে। মূল সড়কে আর কোনো বর্জ্য নেই। অলিগলির বর্জ্যও দ্রুত সংগ্রহ করা হচ্ছে।