কেন্দুয়ায় বোরো খেতে জলাবদ্ধতা নিরসনে কৃষকদের মানববন্ধন

চিথোলিয়া, কাশিপুর ও সাগলি গ্রামের কৃষকেরা এ মানববন্ধনে অংশ নেন
ছবি: প্রথম আলো

নেত্রকোনার কেন্দুয়ার চিরাং ইউনিয়নের খোরাদিঘা বিলের পানি নিষ্কাশন খালের বাঁধ অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বেলা একটার দিকে এলাকাবাসীর ব্যানারে এই মানববন্ধন হয়। চিথোলিয়া, কাশিপুর ও সাগলি গ্রামের কৃষকেরা এ মানববন্ধনে অংশ নেন। এর আগে গতকাল সোমবার একই দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে আবেদন করা হয়।

ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধনে বক্তব্য দেন চিথোলিয়া গ্রামের কৃষক আবু বক্কর সিদ্দিক, হাবিকুল ইসলাম, মো. রব্বানী, মো. ফজলু মিয়া, আবুল কালাম, হারুন মিয়া, কাশিপুর গ্রামের কৃষক আলতু মিয়া, আতাউর রহমান, আনারুল হক, সাগলি গ্রামের কৃষক হেলিম মিয়া, রুবেল মিয়া প্রমুখ।

স্থানীয় বাসিন্দা ও উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, খোরাদিঘা বিলে চিথোলিয়া, কাশিপুর, সাগলিসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামের কৃষকদের প্রায় তিন হাজার একর জমি আছে। ওই জমিতে তাঁরা বোরো আবাদ করেন। এই বিলের পানি খোরাদিঘা খাল দিয়ে সুতিয়া নদীতে প্রবাহিত হয়। তবে ২০১৬ সালে খালের মোজাফরপুর ইউনিয়নের হারুলিয়া গ্রামের অংশে ওই গ্রামের লোকজন বাঁধ দেন। এতে ভারী বৃষ্টি হলে বিলের নিচু স্থানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। ফলে কৃষকদের প্রায় ২০০ একর জমির আগাম বোরো ধানের ক্ষতি হয়।

পরের বছর ডিসেম্বরে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা ইউএনওর কাছে অভিযোগ করলে ওই বছর প্রশাসন বাঁধ অপসারণ করে। কিন্তু পরের বছর আবারও বাঁধ দেওয়া হয়। এরপর তিন বছর ধরে বিলের জমির বোরো ধান নষ্ট হচ্ছে। সম্প্রতি ভারী বৃষ্টিতে বিলের নিচু স্থানে পানি জমে আগাম বোরো ধানের গাছ ডুবে গেছে। এতে কৃষকদের ক্ষতি পোহাতে হচ্ছে।

চিথোলিয়া গ্রামের কৃষক আবু বক্কর সিদ্দিক, মো. রব্বানী, হারুন মিয়া ও কাশিপুর গ্রামের কৃষক আলতু মিয়ার দাবি, খালের পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় তাঁদের প্রায় ১২ একর জমি পানির নিচে ডুবে গেছে। এতে প্রায় ৭৫০ মণ ধানের ক্ষতি হয়েছে।

কৃষক মো. রব্বানী বলেন, পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় বিলে প্রতিবছর কৃষকদের ১২ থেকে ১৫ হাজার মণ ধান নষ্ট হয়। বিষয়টি নিয়ে হারুলিয়া গ্রামের মাতবরদের সঙ্গে কৃষক ও চিরাং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান একাধিকবার বসেছিলেন, কিন্তু কাজ হয়নি।

জানতে চাইলে ইউএনও কাবেরী জালাল বলেন, বিষয়টি সমাধানে চিরাং ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল কবির খান ও মোজাফরপুরের চেয়ারম্যান জাকির হোসেনকে বলা হয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার সহকারী কমিশনারের (ভূমি) নেতৃত্বে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হবে।