সাভারে বাসে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর
ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় আজ শনিবার একটি যাত্রীবাহী বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া আরও দুটি বাসের জানলার কাচ ভাঙচুর করা হয়েছে। তবে এসব ঘটনায় কারও আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, আজ শনিবার বেলা তিনটার দিকে নবীনগর থেকে ঢাকার আজিমপুরে চলাচলকারী ‘বিকাশ’ ব্যানারের একটি যাত্রী পরিবহন বাস নবীনগরে যাত্রী নামিয়ে দিয়ে বাইশমাইল এলাকার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সামনে দিয়ে ঘুরিয়ে নিরিবিলি এলাকায় পৌঁছায়। এ সময় বাসের চালক প্রায় ৩০০ গজ সামনে অর্ধশতাধিক লোকের একটি দলকে ‘পলাশ’ ব্যানারের একটি বাসের জানলার কাচ ভাঙচুর করতে দেখেন। এ সময় বিকাশ বাসের চালক মহাসড়কেই বাসটি ঘুরিয়ে উল্টো দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তার আগেই দলটি সেখানে পৌঁছে প্রথমে বাসটির জানালা ও সামনের কাচ ভাঙচুর করে। পরে তারা বাসে আগুন লাগিয়ে চলে যায়। বাসের চালক ও চালকের সহকারী দ্রুত বাস থেকে নেমে নিরাপদ দূরত্বে চলে যান। এ সময় বাসে কোনো যাত্রী ছিলেন না। খবর পেয়ে ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (ডিইপিজেড) ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
ক্ষতিগ্রস্ত বাসের চালক আনোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘পলাশ পরিবহনের একটি বাস ভাঙচুর করা হচ্ছে দেখে বাসটি ঘোরাতে যাই। এর আগেই ৫০-৬০ জন এসে আমার বাসটি ভাঙচুর শুরু করেন। আমাকে বড় ছুরি দিয়ে আঘাত করতে এলে আমি ভয়ে গাড়ি থেকে দ্রুত নেমে যাই। পরে তাঁরা বাসে আগুন ধরিয়ে দেন।’
প্রত্যক্ষদর্শী ব্যাটারিচালিত রিকশার চালক সাদ্দাম হোসেন বলেন, বাসের ড্রাইভার গাড়ি ঘোরানোর চেষ্টা করছিলেন; কিন্তু পারেনি। এর আগেই ৫০-৬০ জন পোলাপান বাসটি ভাঙচুর করে আগুন ধরাইয়া দেয়।
আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘একটি বাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আরও দুটি বাস ভাংচুর করা হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। তবে কারও আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। ঘটনাটি কারা ঘটিয়েছে সেটি নিশ্চিত নই। তদন্ত করে বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।’