মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচনের ঘোষণা দিলেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য

মোয়াজ্জেম হোসেন ওরফে রতন
ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-১ (ধর্মপাশা, জামালগঞ্জ, তাহিরপুর ও মধ্যনগর) আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন আসনটির বর্তমান সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন ওরফে রতন। গতকাল রোববার বিকেলে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ ঘোষণা দেন।

সুনামগঞ্জ-১ আসন থেকে এবার আওয়ামী লীগের ১৬ জন প্রার্থী মনোনয়ন চেয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য রনজিত চন্দ্র সরকারকে নৌকার টিকিট দিয়েছে দল।

বর্তমান সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন ধর্মপাশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে আছেন। দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে গতকাল বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে সংসদ সদস্যের ব্যক্তিগত সহকারী আবদুর রাজ্জাকের ফেসবুক আইডি থেকে একটি ভিডিও বার্তা দেন তিনি। এ সময় ধর্মপাশা, জামালগঞ্জ ও তাহিরপুর উপজেলার আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন পদধারী নেতাকে তাঁর পাশে দেখা গেছে।

১ মিনিট ৫৯ সেকেন্ডের ভিডিওতে সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘প্রিয় হাওরবাসী, ১৫টি বছর আপনাদের সঙ্গে আমি ছিলাম। যত দিন বেঁচে থাকব আপনাদের সঙ্গে থাকব। আমার সঙ্গে চারটি উপজেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা আছেন। আমার সঙ্গে আগেও ছিলেন, বর্তমানে আছেন, ভবিষ্যতেও আপনারা থাকবেন। আগামী ৩০ নভেম্বর বেলা ১১টায় সুনামগঞ্জ ডিসি অফিসে আমরা মনোনয়নপত্র জমা দেব। সুষ্ঠু, সুন্দরভাবে এই হাওরবাসীকে আমরা নতুন একটি চমক উপহার দেব।’ মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় সব নেতা-কর্মীকে উপস্থিত থাকার উদাত্ত আহ্বান জানান তিনি।

ভিডিও বক্তব্যের সময় সংসদ সদস্যের পাশে উপস্থিত ছিলেন ধর্মপাশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ ওরফে বিলকিস। আজ দুপুরে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘বর্তমান সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেনের স্বতন্ত্র নির্বাচন করার বিষয়টি একান্তই তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়। এতে আমাদের কোনো রকম সমর্থন নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমার চৌদ্দ গোষ্ঠী আওয়ামী লীগ করে। দলীয় সভানেত্রী এই আসনে যাঁকে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন দিয়েছেন, নির্বাচনে আমরা তাঁর পক্ষেই কাজ করব।’

উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ ওরফে মুরাদ বলেন, ‘১৯৭৩ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এবারই প্রথমবারের মতো আমরা একজন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক প্রার্থী পেয়েছি। যিনি ছাত্রলীগ, যুবলীগ করে এখন আওয়ামী লীগের পদে আছেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা, দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যোগ্য প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়ায় দলীয় নেতা-কর্মীরা আনন্দিত ও উচ্ছ্বসিত।’

মধ্যনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পরিতোষ সরকার বলেন, ‘এই আসনে চারটি উপজেলা আছে। আমাদের মধ্যনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিসহ আমরা কেউই সেখানে (মোয়াজ্জেম হোসেনের পাশে) উপস্থিত ছিলাম না। তিনি আমাদের জড়িয়ে ডাহা মিথ্যা কথা বলেছেন।’