সিলেটে মৎস্য খাতবিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে উপস্থাপিত হলো ১৯৩টি গবেষণাপত্র

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের উদ্যোগে আয়োজিত আন্তজার্তিক সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে অতিথিরা। শনিবার সন্ধ্যায় নগরের সুবিদবাজার এলাকায়
ছবি : প্রথম আলো

বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১০টি দেশের গবেষকদের ১৯৩টি গবেষণাপত্র উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে মৎস্য খাত’ শীর্ষক তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন। আজ শনিবার সন্ধ্যা ছয়টায় সম্মেলনের সমাপনী পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের আয়োজনে নগরের সুবিদবাজার এলাকার খান প্যালেসের সম্মেলনকক্ষে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সমাপনী পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক মুত্যুঞ্জয় কুন্ডের সভাপতিত্বে এতে প্রধান পৃষ্ঠপোষকের বক্তব্য দেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. মতিয়ার রহমান হাওলাদার।

এর আগে গতকাল শুক্রবার সকালে সম্মেলনের উদ্বোধন করা হয়। আগামীকাল রোববার সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণের মধ্য দিয়ে সম্মেলন শেষ হবে। আয়োজকেরা জানান, সম্মেলনে বাংলাদেশ, নেপাল, ভারত, ডেনমার্ক, মালয়েশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, কোরিয়াসহ ১০টি দেশ থেকে তিন শতাধিক গবেষক অংশ নেন। তাঁরা মৎস্য খাত-সংক্রান্ত ১৯৩টি গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করেন। ভবিষ্যতে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে মৎস্য খাতের ভূমিকা কী হবে, এ নিয়েও সম্মেলনে আলোচনা হয়।

সমাপনী পর্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ভারতীয় হাইকমিশন সিলেটের সহকারী হাইকমিশনার নিরাজ কুমার জয়সওয়াল, ডিপ সি ফিশার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এনাম চৌধুরী ও সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্স সিস্টেমের পরিচালক সৈয়দ সায়েম উদ্দিন আহম্মদ। শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন অধ্যাপক এম এম মাহবুব আলম।

মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও সম্মেলনের আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মুত্যুঞ্জয় কুন্ড জানান, ২০১৯ সালে প্রথমবারের মতো টেকসই মৎস্য খাত শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। এবার দ্বিতীয়বারের মতো সিলেটে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সম্মেলনের মাধ্যমে সারা বিশ্বে মৎস্য খাত নিয়ে চলমান গবেষণাগুলো উপস্থাপিত হয়েছে এবং পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে আসা গবেষকদের পারস্পরিক মতবিনিময়ের সুযোগ ঘটেছে।