আগৈলঝাড়ায় উপজেলা নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থীর দুই কর্মীকে পিটিয়ে জখম

বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলা নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী যতিন্দ্র নাথ মিস্ত্রির প্রচারের মাইক ও গাড়ি ভাঙচুর করেন অপর এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকেরা
ছবি: প্রথম আলো

বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী যতীন্দ্রনাথ মিস্ত্রির প্রচারের গাড়ি ও মাইক ভাঙচুর এবং তাঁর দুই কর্মীকে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুর রইস সেরনিয়াবাতের সমর্থকেরা এ হামলা চালিয়েছেন বলে যতীন্দ্রনাথ অভিযোগ করেছেন। মঙ্গলবার রাতে আগৈলঝাড়া উপজেলার মোল্লাপাড়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

হামলায় আহত ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার বাকাল গ্রামের আবদুল কালাম আকনের ছেলে আমিনুল ইসলাম (২৭) ও হরলাল বেপারীর ছেলে হরষিত বেপারী (২৪)। তাঁদের আগৈলঝাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে  ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় তৃতীয় ধাপের এই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী যতীন্দ্রনাথ মিস্ত্রি থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

আগৈলঝাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও চেয়ারম্যান প্রার্থী যতীন্দ্রনাথ মিস্ত্রি বলেন, ‘মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে আমার কর্মী আমিনুল ইসলাম (২৭) ও হরষিত বেপারীসহ চারজন নির্বাচনী প্রচার চালাতে যান। তাঁরা মোল্লাপাড়া বাজারের দক্ষিণ পাশে পৌঁছালে প্রতিপক্ষ আনারস প্রতীকের প্রার্থী আবদুর রইস সেরনিয়াবাতের নির্বাচনী কার্যালয় থেকে ৫–৭ জন সমর্থক আমার কর্মীদের ধাওয়া করে প্রচারের কাজে ব্যবহৃত গাড়ি ও মাইক ভাঙচুর এবং আমিনুল ইসলাম ও হরষিত বেপারীকে পিটিয়ে জখম  করে। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের উদ্ধার করে আগৈলঝাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে  ভর্তি করেছেন।’

অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান প্রার্থী আগৈলঝাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি আবদুর রইস সেরনিয়াবাত বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনার কথা আমি শুনেছি। খোঁজ নিয়ে জেনেছি এটি একটি ষড়যন্ত্রমূলক ঘটনা। কারণ, ওই সময় আমার সব নেতা–কর্মী আমার সঙ্গে রাজিহার এলাকায় কর্মী বৈঠকে ছিল।’

আগৈলঝাড়া থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় যতীন্দ্রনাথ মিস্ত্রি থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।