সংসদ সদস্য মোকা‌ব্বিরের গা‌ড়িতে হামলায় সাজাপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগ নেতার মু‌ক্তি দাবি

‌সিলেটের বিশ্বনাথে সংসদ সদস্য মোকা‌ব্বির খানকে অবা‌ঞ্ছিত ঘোষণা করে সোমবার বিকেলে বিক্ষোভ মি‌ছিল ও পথসভা করে উপজেলা আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ
ছবি: প্রথম আলো

সিলেটের বিশ্বনাথে প্রায় তিন বছর আগে সংসদ সদস্য ও গণফোরাম নেতা মোকাব্বির খানের গাড়িতে হামলার ঘটনায় করা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগ নেতার মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ হয়েছে। বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে গতকাল সোমবার বিকেলে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের নেতারা মামলাটিকে ষড়যন্ত্রমূলক ও সাজানো বলে দাবি করেন। কর্মসূচিতে মোকাব্বির খানকে বিশ্বনাথে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।

গাড়িতে হামলার মামলায় গত ৩১ মে বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামী লীগের সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক শামীম আহমদকে (৪২) দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, দুই হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত।
সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান গণফোরামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সভাপতি। ২০২০ সালে ১০ আগস্ট দুপুরে বিশ্বনাথ উপজেলার মাসিক আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় যোগ দিতে গেলে তাঁর গাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় কেউ আহত না হলেও গাড়ির গ্লাস ভেঙে যায়। এ ঘটনার পরদিন সংসদ সদস্যের ব্যক্তিগত সহকারী অসিত রঞ্জন দেব বাদী হয়ে দ্রুত বিচার আইনে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেন।

গতকাল বিকেলে দণ্ডপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগ নেতা শামীম আহমদের মুক্তির দাবিতে বিশ্বনাথে বিক্ষোভ মিছিল হয়। মিছিলটি বিশ্বনাথ পৌর শহরের নতুন বাজারের পৌরসভা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়। পরে সেটি বিশ্বনাথ-জগন্নাথপুর সড়কসহ প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বাসিয়া ব্রিজের ওপর গিয়ে শেষ হয়। সেখানে বিক্ষোভ মিছিলপরবর্তী পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল আজিজ।

এ ব্যাপারে সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘পুলিশ প্রোটোকলে থাকা আমার গাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছিল। এতে আমি অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেয়েছিলাম। ওই মামলা আমার হয়ে বিচারপ্রার্থী হয়েছিলেন আমার ব্যক্তিগত সহকারী। অভিযোগপত্রে পাঁচজনের নাম এসেছিল। এর মধ্যে একজনের সাজা হয়েছে। অন্যদের খালাস দেওয়া হয়েছে। আমি এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করব।’ তাঁকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা এবং তাঁর বিরুদ্ধে মিছিল করার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘রায়ের বিরুদ্ধে এমন মিছিল করা কি আদালত অবমাননা নয়? তাঁরা রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারেন। কিন্তু এভাবে মিছিল করতে পারেন না।’