রানা প্লাজা ধস স্মরণে আলোকচিত্র প্রদর্শনী
ঢাকার অদূরে সাভারে রানা প্লাজা ধসের ঘটনা স্মরণে চট্টগ্রাম নগরের চটেশ্বরী রোডের এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের (এইউডব্লিউ) ক্যাম্পাসে আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় এই আলোকচিত্র প্রদর্শনী শুরু হয়। প্রদর্শনী চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। রানা প্লাজার ধসের এক দশক পূর্ণ হবে ২৪ এপ্রিল। এই দিন যাতে কেউ ভুলে না যায়, সে জন্যই এইউডব্লিউ কর্তৃপক্ষ এই প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে।
প্রদর্শনীতে বিভিন্ন আলোকচিত্রীর অর্ধশতাধিক ছবি স্থান পেয়েছে। উদ্ধার কার্যক্রম থেকে শুরু করে স্বজনদের আহাজারি, নিখোঁজ ব্যক্তিদের স্বজনদের অপেক্ষা, মোমবাতি প্রজ্বালনসহ নানা বিষয় উঠে এসেছে প্রদর্শনীতে।
প্রদর্শনী নিয়ে একটি আলোচনা সভা হয়। এতে বক্তব্য দেন এইউডব্লিউর আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস অনুষদের ডিন বিনা খুরানা, মানববিদ্যা অনুষদের ডিন ডেভিড টেইলর, সহকারী অধ্যাপক রঘু নন্দন রিড্ডি ও সহকারী রেজিস্ট্রার তপু চৌধুরী।
বক্তারা বলেন, ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল এক মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী হয়েছিল পুরো দেশ। রানা প্লাজা ধসে এক সঙ্গে প্রাণ হারিয়েছিলেন ১ হাজার ১৩৫ জন শ্রমিক। গুরুতর আহত হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করেন ১ হাজার ১৬৯ জন। এমন ঘটনা ভবিষ্যতে যাতে আর না ঘটে, সে জন্য সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সব আইন মেনে ভবন নির্মাণ করতে হবে। আইন বাস্তবায়নে কর্তৃপক্ষকে আরও কঠোর হতে হবে।
প্রদর্শনীতে ঘুরে ঘুরে ছবি দেখছিলেন হাওয়া বেগম। তিনি একসময় পোশাকশ্রমিক ছিলেন। পরে এইউডব্লিউতে পড়ার জন্য বৃত্তি পান। এইউডব্লিউতে রাজনীতি, দর্শন ও অর্থনীতি বিষয়ে স্নাতক করেন তিনি। বর্তমানে তিনি এইউডব্লিউতে সহকারী তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে কাজ করছেন।
ছবিগুলো দেখে বেশ কিছুক্ষণ বাকরুদ্ধ ছিলেন হাওয়া বেগম। পরে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, রানা প্লাজা ধসে হাজারো মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। কারও পা চলে গেছে। কারও হাত কেটে ফেলতে হয়েছে। এমন মর্মান্তিক ঘটনার পুনরাবৃত্তি চান না তিনি।