গাজীপুরে প্রতিবেশীর ঝগড়া থামাতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে নারী খুন

খুন
প্রতীকী ছবি

গাজীপুর মহানগরের দক্ষিণ সালনা এলাকায় ঝগড়া থামাতে গিয়ে প্রতিবেশী এক যুবকের ছুরিকাঘাতে এক নারী নিহত হয়েছেন। আজ রোববার বিকেল চারটার দিকে দক্ষিণ সালনার মন্ত্রিবাড়ী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় গুরুতর আহত হন আরও নারী। পরে ছুরিকাঘাত করা ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন স্থানীয় ব্যক্তিরা।

নিহত ওই নারীর রুমানা আক্তার (২৮)। তাঁর গ্রামের বাড়ি বরিশালের বন্দর থানার রায়পুরা গ্রামে। সালনা এলাকায় স্বামী হাসান হাওলাদারের সঙ্গে থাকতেন একটি ভাড়া বাসায়। হাসান হাওলাদার চাকরি করেন একটি পোশাক কারখানায়। আর রুমানা শিক্ষকতা করতেন স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে। এ ঘটনায় আহত নারীর নাম সাবিনা। আর ছুরিকাঘাত করা ব্যক্তির নাম কায়েস রানা। তিনি স্থানীয় একটি পোশাক কারখানার শ্রমিক। থাকতেন রুমানাদের পাশের বাসায়। কায়েস রানার গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলায়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রুমানা ও তাঁর স্বামী হাসান হাওলাদার দক্ষিণ সালনার মন্ত্রিবাড়ী এলাকার গোলাম মোস্তফার বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। তাঁদের পাশের ঘরে ভাড়া থাকেন সাবিনা আক্তার। এর পাশে আরেকটি ঘরে ভাড়া থাকেন কায়েস রানা। বিকেল চারটার দিকে কায়েস রানা ও সাবিনার মধ্যে কোনো একটা বিষয় নিয়ে বিরোধ দেখা দেয়। তাঁরা ঝগড়ায় জড়ান। একপর্যায়ে কায়েস রানা সাবিনার ঘরে ঢুকে সাবিনাকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করতে থাকেন।

বিষয়টি দেখে এগিয়ে আসেন রুমানা আক্তার। রুমানা কায়েস রানাকে থামানোর চেষ্টা করেন। ঘটনাটি দেখে এগিয়ে আসেন স্থানীয় আরও লোকজন। একপর্যায়ে পালানোর চেষ্টা করলে কায়েস রানাকে আটক করে ফেলেন তাঁরা। পরে খবর দিলে পুলিশ এসে তাঁকে আটক করে নিয়ে যায়।

জসিম নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা প্রথম আলোকে বলেন, কায়েস রানা ও সাবিনার মধ্যে পূর্ববিরোধ ছিল। এর জের ধরে আজ কায়েস রানা সাবিনার ঘরে ঢুকে সাবিনাকে ছুরিকাঘাত করেন। এ সময় সাবিনার চিৎকারে রুমানা এগিয়ে গেলে রুমানাকেও ছুরিকাঘাত করেন কায়েস। পরে রুমানা সাবিনার ঘর থেকে বেরিয়ে নিজের ঘরে যেতে চাইলে পথে পড়ে মারা যান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গাজীপুর মহানগরের সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ রাফিউল করিমের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও সংযোগ বন্ধ পাওয়া যায়। পরে উপপরিদর্শক উজ্জলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থল থেকে একজনের মরদেহ উদ্ধার করেছি। আরেকজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কেন, কীভাবেÑএ ঘটনা ঘটল, তা এখনই বলা যাচ্ছে না।’