শ্রীপুরে ভূমিকম্পে আহত ২৯ জনের চিকিৎসা চলছে, কারখানার কার্যক্রম স্বাভাবিক
ভূমিকম্পের সময় গাজীপুরের শ্রীপুরের ডেনিমেক লিমিটেড নামের তৈরি পোশাক কারখানার ভবন থেকে বের হতে গিয়ে আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ২৯ জনের চিকিৎসা চলছে। আজ শনিবার পুরোদমে চলেছে কারখানার কার্যক্রম। সংস্কার করা হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্ত প্রধান ফটক।
শনিবার দুপুরে ডেনিমেক পোশাক কারখানার সামনে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে মূল ফটকের সামনে কারখানার কর্তৃপক্ষের লোকজন উপস্থিত হয়েছেন। ফটকের একটি অংশ সংস্কার করতে কাজ করছেন তাঁরা। গতকাল শুক্রবার ভূমিকম্পের সময় মূল ফটক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আতঙ্কিত হয়ে বের হওয়ার সময় লোকজনের চাপে মূল ফটকটি খোলা যায়নি। পরে সেটি ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে শ্রমিকেরা বাইরে বের হয়ে আসেন। এ সময় তাড়াহুড়ো করে বের হওয়ার সময় আহত হয়েছিলেন কারখানার অনেক শ্রমিক।
কারখানার দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, আজ দুপুর নাগাদ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৮ জন ও তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১১জন চিকিৎসা নিচ্ছেন।
কারখানার শ্রমিক মো. রাসেল মিয়া বলেন, হঠাৎ ঝাঁকুনি অনুভব করায় শ্রমিকেরা দ্রুত কারখানার বিভিন্ন তলা থেকে বাইরে বের হতে থাকেন। এ সময় কারখানার ভেতরের ফটক খোলা থাকলেও বাইরের মূল ফটক বন্ধ ছিল। বিপুলসংখ্যক শ্রমিক কারখানার ভবন থেকে বের হয়ে ফটকের ভেতরের দিকের খোলা জায়গায় ভিড় করেন। এতে মানুষের চাপে মূল ফটক খোলা যায়নি। একপর্যায়ে শ্রমিকেরা সম্মিলিতভাবে ধাক্কা দিলে ফটকটি কাঠামো থেকে ছুটে যায়। পরে শ্রমিকেরা কারখানার বাইরের সড়কে বের হয়ে আসেন।
অপর শ্রমিক আবদুল ওয়াহাব বলেন, অনেকেই পদদলিত হয়ে আহত হয়েছেন। কারও হাতে, কারও পায়ে, কারও কোমরে আঘাত পেয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে বেশির ভাগ নারী শ্রমিক। তবে আহতরা প্রায় সবাই চিকিৎসা নিয়ে কাজে ফিরেছেন।
ডেনিমেক লিমিটেড কারখানার পরিচালক (প্রশাসন) রুবেল মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, আহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুটি হাসপাতালে মোট ২৯ জন চিকিৎসাধীন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই শনিবারই হাসপাতাল থেকে ছাড় পাওয়ার কথা। তাঁদের চিকিৎসার ব্যয়, পারিবারিক সাপোর্ট, যাতায়াতসহ সব ধরনের সহযোগিতা কারখানার পক্ষ থেকে করা হচ্ছে। কারখানা যথানিয়মে চলমান আছে।
শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তথ্য অনুযায়ী ওই ঘটনায় হাসপাতালটিতে প্রায় ১৫০ জন আহত শ্রমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনকে ময়মনসিংহ, ঢাকা ও শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। অনেকে রাতের মধ্যেই চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।