কক্সবাজার এক্সপ্রেসের টিকিট কালোবাজারি হচ্ছে কি না, র‍্যাবকে তদন্তের নির্দেশ

কক্সবাজার রেল স্টেশনফাইল ছবি

কক্সবাজার এক্সপ্রেসের টিকিট–সংক্রান্ত অভিযোগ তদন্তের জন্য র‌্যাব-১৫ কার্যালয়ের অধিনায়ককে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গত রোববার বিকেলে কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শ্রীজ্ঞান তঞ্চঙ্গ্যা স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এ বিষয়ে একটি মামলা করেন। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে আদালতে এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য র‍্যাবকে নির্দেশ দেওয়া হয়। শুনানির পরবর্তী তারিখ আগামী ১ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়।

এর সত্যতা নিশ্চিত করে সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মোহাম্মদ শফি বলেন, আদেশের কপি র‌্যাব-১৫, কক্সবাজারের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ শাহীন উদ্দিন, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মামুন এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালকের কাছে পাঠানো হয়েছে।

ঢাকা-কক্সবাজার রেলপথে কক্সবাজার এক্সপ্রেস নামের ২০ বগির ট্রেনের যাত্রী ধারণক্ষমতা ১ হাজার ২০ জন। ১ ডিসেম্বর থেকে ট্রেনটি চলাচল শুরু করলেও টিকিট পাওয়া নিয়ে এরই মধ্যে শোনা যাচ্ছে নানা অভিযোগ। একটি সিন্ডিকেট নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে টিকিট বিক্রি করছে বলে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখালেখিও হচ্ছে।

আদালত সূত্র জানায়, স্থানীয় একটি অনলাইন পোর্টালে টিকিট কালোবাজারে বিক্রি হচ্ছে মর্মে সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি আমলে নিয়ে এর সঙ্গে কারা জড়িত, সে বিষয়ে তদন্তের মাধ্যমে আসামিদের শনাক্ত করা প্রয়োজন বলে মনে করেন আদালত।
আদালতের আদেশে আরও বলা হয়, অপরাধটি কাদের দ্বারা সংঘটিত হচ্ছে, তা প্রাথমিক অনুসন্ধানের মাধ্যমে নিরূপণ করা প্রয়োজন। অনলাইন টিকিট বিক্রির প্রতিষ্ঠান সহজ ডটকমের কেউ এর সঙ্গে জড়িত কি না, তা–ও খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

র‌্যাব-১৫ কক্সবাজার কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম) ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু সালাম চৌধুরী বলেন, ট্রেনের টিকিট কালোবাজারির অভিযোগ শুরু থেকেই শোনা যাচ্ছে। জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি তদন্তের আদেশ দিয়ে আদালত দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। আদেশ হাতে পৌঁছামাত্র তদন্ত শুরু করবে র‌্যাব।

এ বিষয়ে সহজ ডটকমের নির্বাহী পরিচালক সুদীপ দেবনাথ বলেন, ‘আমরা কালোবাজারির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করি। সহজের কোনো কর্মকর্তার টিকিট কাউন্টারে বসার নিয়ম নেই। ট্রেনে চেকারের সংখ্যা বাড়ানো দরকার। এই রুটে যাত্রীর তুলনায় টিকিট কম। এ কারণে অনেকে টিকিট পাচ্ছেন না।’

কালোবাজারে টিকিট বিক্রির কোনো সুযোগ নেই বলে জানান আইকনিক রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার গোলাম রব্বানী। তিনি বলেন, কালোবাজারে টিকিট বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।