যশোরে বিএনপির সমাবেশের আগের দিন আজ শুক্রবার বিকেলে মহড়া দিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ। জেলার আটটি উপজেলার নেতা–কর্মীদের নিয়ে বিকেলে শহরের টাউন হল মাঠে বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়েছে। দলের সভাপতি শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেওয়ার প্রতিবাদে এ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
সমাবেশ শেষে সন্ধ্যায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সম্পাদকের নেতৃত্বে বাঁশ ও লাঠি হাতে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি সমাবেশস্থল শহরের টাউন হল মাঠ থেকে বের হয়ে দড়াটানা ঘুরে চৌরাস্তা থানা মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
সমাবেশে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘তারেক রহমানের ইন্ধনে শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন রাজশাহীর বিএনপি নেতা আবু সাঈদ চাঁদ। লন্ডনে তারেক রহমানের মৃত্যু হলে তাঁর লাশ বাংলাদেশে প্রবেশ করবে না। আওয়ামী লীগ আবারও নৌকা প্রতীকে সরকার গঠন করবে, এই ভয়ে বিএনপি–জামায়াত নানা ষড়যন্ত্র করছে।’ তিনি আওয়ামী লীগের সব নেতা–কর্মীকে একত্র হয়ে বিএনপির ষড়যন্ত্রকে মোকাবিলা করার আহ্বান জানান।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার বলেন, ‘যশোরে বিএনপির সমাবেশে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করলে যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের সেখানে পাঠিয়ে দেব। বিএনপি হুমকি দিয়েছে, শনিবার তারা নাকি যশোর অচল করে দেবে। দেশের অন্য জেলার কথা বলতে পারব না, তবে যশোরে অগ্নিসন্ত্রাস করতে এলে বিএনপিকে ঘরে থাকতে দেব না।’
সমাবেশে বক্তব্য দেন যশোর পৌর মেয়র হায়দার গণি খান পলাশ, যশোর-২ (চৌগাছা-ঝিকরগাছা) আসনের সংসদ সদস্য নাছির উদ্দিন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহিত কুমার নাথ, যশোর জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মুন্সী মহিউদ্দিন, শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক শেখ আতিকুর বাবু, উপপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক লুৎফুল কবীর, কৃষক লীগের জেলা কমিটির সহসভাপতি মোশাররফ হোসেন, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লাইজু জামান, সাধারণ সম্পাদক জোৎস্না আরা মিলি, শ্রমিক লীগের সভাপতি সাইফুর রহমান প্রমুখ।
আগামীকাল শনিবার যশোর শহরের ভোলা ট্যাংক (নীল রতন ধর) সড়কে বিএনপির সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সমাবেশে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
একই দিনে টাউন হল মাঠে সরকার–সমর্থিত সম্মিলিত শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ব্যানারে পাল্টা সমাবেশ হবে। শ্রমিক পরিষদের সমাবেশের জন্যে শহরে প্রচার মাইকে মাইকিং করতে দেখা গেলেও বিএনপির সমাবেশ আয়োজনের বিষয়ে কোনো মাইকিং শোনা যায়নি। সমাবেশ সফল করতে দলের কাউকে জনসংযোগ করতেও দেখা যায়নি। তবে ভোলা ট্যাংক সড়কে মঞ্চ নির্মাণের প্রস্তুতি নিতে দেখা গেছে।