ভোটারদের ভয়ভীতি দেখালে পেতে হবে শাস্তি: নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা
ভোটারদের ভয়ভীতি দেখালে শাস্তি পেতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রাশেদা সুলতানা। তিনি আরও বলেন, আগে ভোটারদের ভয়ভীতি দেখিয়ে ভোট আদায়ের চেষ্টা করা হতো। সেখানে কোনো শাস্তির বিধান ছিল না। এখনকার নির্বাচন কমিশন ভোটারদের কোনো রকম ভয়ভীতি প্রদর্শন করলে শাস্তি দেওয়ার বিধান করেছে। আজ শুক্রবার দুপুরে রংপুর বিভাগীয় কমিশনারের সভাকক্ষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
ভোটারদের রাতের আঁধারে ভয়ভীতি প্রদর্শন করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানানোর আহ্বান জানিয়ে রাশেদা সুলতানা বলেন, ভোটাররা যাতে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন, সে জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও মাঠপর্যায়ের প্রশাসনও এসব বিষয়ে বেশ আন্তরিক। আগামী ৭ জানুয়ারি যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, সে জন্যই নির্বাচনসংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে আজকের এই সভা।
রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘আমরা প্রশাসনের সর্বস্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁরা সুষ্ঠু, অংশগ্রহণযোগ্য ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সর্বাত্মকভাবে প্রস্তুত। আসন্ন নির্বাচনে যাতে সবাই সমন্বিত হয়ে কাজ করতে পারেন, এই বার্তা দেওয়াই আমার মূল লক্ষ্য। আমার বিশ্বাস, আমরা জাতিকে একটি সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে পারব।’
হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচি বন্ধে নির্বাচন কমিশনের কিছুই করার নেই বলে জানিয়েছেন রাশেদা সুলতানা। তিনি বলেন, ‘হরতাল-অবরোধ কে দেবে, না দেবে, তা নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কিছুই করার নেই। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এ ব্যাপারে সজাগ রয়েছে। ভোটের পরিবেশ তৈরি আছে এবং তৈরি থাকবে, তা যেকোনোভাবেই হোক। আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও প্রস্তুত রয়েছে। সংবিধান মেনেই দেশে একটি সুন্দর, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে।’
যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, ভোটের তারিখ পেছানোর কোনো সম্ভাবনা নেই। শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য মিডিয়ার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সে জন্য সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য মিডিয়ার সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
এর আগে সকাল ১০টায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভায় দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন রাশেদা সুলতানা। সভায় রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি মো. আবদুল বাতেন, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন। আরও উপস্থিত ছিলেন রংপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা ও লালমনিরহাট জেলার রিটার্নিং কর্মকর্তা, পুলিশ সুপার, সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও বিভিন্ন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা (ওসি)। সভায় সভাপতিত্ব করেন রংপুর বিভাগীয় কমিশনার হাবিবুর রহমান।