প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে আজও জেলায় জেলায় প্রতিবাদ
দেশের শীর্ষ দুই সংবাদমাধ্যম দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে আজ মঙ্গলবারও বিভিন্ন জেলায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, এ হামলা কোনো একক গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে নয়; এটি স্বাধীন সাংবাদিকতা, মতপ্রকাশের অধিকার ও সামগ্রিকভাবে দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোর ওপর সরাসরি আঘাত।
নারায়ণগঞ্জ, বরিশাল, সাতক্ষীরা, সিলেট, পাবনা ও দিনাজপুরে এই মানববন্ধন করেন সাংবাদিক, সংস্কৃতিকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ। এ ছাড়া এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে ফেনীর তিনটি সাংবাদিক সংগঠন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সংবাদমাধ্যমকে ভয় দেখিয়ে স্তব্ধ করে দেওয়ার এই চেষ্টা রাষ্ট্র ও সমাজের জন্য গভীর অশনিসংকেত। দ্রুত হামলাকারীদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত না করলে ভবিষ্যতে এ ধরনের মব সন্ত্রাস আরও বাড়বে।
নারায়ণগঞ্জ
আজ বেলা ১১টার দিকে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব চত্বরে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে সন্ত্রাসী হামলা স্বাধীন সাংবাদিকতা ও মতপ্রকাশের ওপর চরম আঘাত। এই হামলা কেবল দুটি পত্রিকার ওপর নয়, এটি দেশের গণতন্ত্র ও স্বাধীন মতপ্রকাশের ওপর সরাসরি আঘাত।
নারায়ণগঞ্জে কর্মরত সাংবাদিকেরা এই কর্মসূচির আয়োজন করেন।
নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি হালিম আজাদের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও খবরের পাতার সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, দৈনিক সংবাদের প্রধান প্রতিবেদক সালাম জুবায়ের, বাংলাদেশ কলামিস্ট ফোরামের মহাসচিব মীর আবদুল আলীম, নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন, সহসভাপতি বিল্লাল হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ আনিসুর রহমান, দৈনিক সমকালের নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি শরীফ উদ্দিন, জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আহসান সাদিক, কবি ও সাংবাদিক কাজল কানন, ফতুল্লা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মোহাম্মদ মাসুম, বন্দর প্রেসক্লাবের সভাপতি আতাউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মাহফুজ জাহিদ, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা প্রেসক্লাবের সভাপতি হোসেন চিশতি, সিদ্ধিরগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম, জেলা ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম, অনলাইন পোর্টাল নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেটের সম্পাদক তাহের হোসেন, সাংবাদিক এস এম জহিরুল ইসলাম ও মাহবুব মনি।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আমাদের সময়ের নিজস্ব প্রতিবেদক লুৎফর রহমান, জনকণ্ঠের নিজস্ব প্রতিবেদক খলিলুর রহমান, সংবাদের জেলা প্রতিনিধি আফসানা আক্তার, আলোকিত বাংলাদেশের শরীফ সুমন, কালের কণ্ঠের নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি রাশেদুল ইসলাম, সময় টেলিভিশনের শওকত আলী, এখন টিভির এমরান আলী, এশিয়ান টিভির নোমান চৌধুরী, জিটিভির আশিকুর রহমান, দেশ টিভির বিল্লাল হোসাইন, বাংলা নিউজের মাহফুজুর রহমান, অনলাইন পোর্টাল প্রেস নারায়ণগঞ্জের সম্পাদক ফখরুল ইসলাম, প্রথম আলোর সাবেক আলোকচিত্রী দিনার মাহমুদ, যায়যায়দিনের শাহাদাত হোসেন, মোহনা টিভির আজমীর ইসলাম, সময়ের আলোর অনু খান, ঢাকা পোস্টের মেহেদী হাসান, আজকের পত্রিকার শরিফুল ইসলাম, জাগো নিউজের মো. আকাশ, কালবেলার নূরে আলম, সংবাদচর্চা পত্রিকার তুষার আহমেদ ও শেখ আরিফ, অনলাইন পোর্টাল নিউজ নারায়ণগঞ্জ এর শাহজাহান দোলন, নিউজ ভিউর প্রধান প্রতিবেদক নিরাক হাসান, প্রেস নারায়ণগঞ্জের জান্নাতুল ফেরদৌস, প্রথম আলোর নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি মজিবুল হক, ডেইলি স্টারের নিজস্ব সংবাদদাতা সৌরভ সিয়াম, ও প্রথম আলোর নারায়ণগঞ্জ সংবাদদাতা গোলাম রাব্বানী প্রমুখ।
বরিশাল
বেলা ১১টার দিকে বরিশালের গৌরনদী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গৌরনদী প্রেসক্লাব মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন গৌরনদী প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক জহুরুল ইসলাম। বক্তব্য দেন প্রেসক্লাবের প্যানেল আহ্বায়ক মো. গিয়াস উদ্দিন মিয়া, খন্দকার মনিরুজ্জামান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. খোকন আহমেদ, সাবেক সভাপতি আসাদুজ্জামান রিপন, সদস্য মোল্লা ফারুক, কাজী আল আমিনসহ স্থানীয় সাংবাদিক নেতারা।
সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘আজ আমরা কোনো একটি পত্রিকার পক্ষে নয়—আমরা দাঁড়িয়েছি সত্যের পক্ষে, স্বাধীনতার পক্ষে এবং গণতন্ত্রের পক্ষে। সংবাদপত্রের কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগ একটি সুপরিকল্পিত চেষ্টা, যার লক্ষ্য স্বাধীন সাংবাদিকতাকে ভয় দেখানো ও স্তব্ধ করে দেওয়া।’
সমাবেশে বক্তারা বলেন, স্বাধীন ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা গণতন্ত্রের অন্যতম ভিত্তি। সংবাদমাধ্যমের ওপর হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ স্বাধীন মতপ্রকাশের ওপর সরাসরি আঘাত। একটি কুচক্রী মহল পরিকল্পিতভাবে গণমাধ্যমকে টার্গেট করে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে বলেও তাঁরা মন্তব্য করেন।
মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক মো. পলাশ তালুকদার, আনিচুর রহমান, সোলায়মান তুহিন, উত্তম কুমার, এস এম মোশারফ, এ এস মামুনসহ স্থানীয় বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকেরা।
সাতক্ষীরা
আজ বেলা ১১টার দিকে সাতক্ষীরা শহরের শহীদ রীমু সরনিতে পোস্ট অফিসের সামনে সাতক্ষীরায় উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে মানববন্ধন করা হয়। দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে আয়োজিত এই সমাবেশ থেকে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, ছায়ানট, প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগকারী মব সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের ওপরে হামলা মানেই দেশের নির্যাতিত নিপীড়িত মানুষের কণ্ঠস্বর স্তব্ধ করার ষড়যন্ত্র। একইভাবে বাঙালি সংস্কৃতি ধ্বংস করার জন্যই ছায়ানট ও উদীচীর ভবনে হামলা চালিয়েছে একই উগ্রবাদী ও মৌলবাদী গোষ্ঠী। ওই গোষ্ঠী মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস করতে তৎপর। এখনই এদের প্রতিহতের ব্যবস্থা না করলে আগামীতে বাংলাদেশ বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়বে। মানুষ নিরাপদ থাকতে পারবে না, স্বাধীনভাবে মত প্রকাশও করতে পারবে না।
বক্তারা সম্প্রতি ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার দীপু দাস হত্যা ও লক্ষ্মীপুরের বিএনপি নেতার বাড়িতে পেট্রল ঢেলে পুড়িয়ে শিশু হত্যার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটা ঘটনা ঘটলেই বিবৃতি দিয়ে দায় সারছে। বিবৃতি কোনো সরকারের কাজ হতে পারে না। সরকারের কাজ অপরাধীদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনা।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন উদীচী সাতক্ষীরা শাখার উপদেষ্টা আবদুল হামিদ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন উদীচী জেলা শাখার সদস্য রুবেল গাইন। সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক সৈয়দ ইফতেখার আলী, জেলা নাগরিক কমিটি আহ্বায়ক আজাদ হোসেন, গণ-আন্দোলন মঞ্চের আহ্বায়ক খগেন্দ্রনাথ ঘোষ, বাম গণতান্ত্রিক জোটের জেলা আহ্বায়ক নিত্যানন্দ সরকার, বাংলাদেশ জাসদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইদ্রিস আলী, প্রথম আলোর সাতক্ষীরার নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জি, শিল্পী ঐক্যজোটের সাধারণ সম্পাদক মন্মথ রঞ্জন, জেলা মন্দির সমিতির সভাপতি সোমনাথ ব্যানার্জি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি আবুল হোসেন প্রমুখ।
ফেনী
প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের ফেনী জেলা শাখা, ইয়ুথ জার্নালিস্ট ফোরাম বাংলাদেশ (ওয়াইজেএফবি) ফেনী জেলা শাখা ও পরশুরাম প্রেসক্লাব। পৃথক বিবৃতিতে সংগঠনগুলো এই প্রতিবাদ জানায়।
বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের ফেনী জেলা শাখার সভাপতি ইয়াসির আরাফাত রুবেল ও সাধারণ মুহাম্মদ দুলাল তালুকদার স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, দেশের শীর্ষ সংবাদমাধ্যম দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগের ঘটনা চরম নিন্দনীয় ও ভয়াবহ অপরাধ। সংবাদমাধ্যমে অগ্নিসংযোগ মানে সত্যের কণ্ঠরোধ, মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত এবং রাষ্ট্রীয় শৃঙ্খলার অবক্ষয়। পরিকল্পিতভাবে মিডিয়াকে ভয় দেখানোর এই অপচেষ্টা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
ওয়াইজেএফবির ফেনী জেলা শাখার সভাপতি শাহজালাল ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে দুটি গণমাধ্যম কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
পরশুরাম প্রেসক্লাবের সভাপতি এম এ হাসান ও সাধারণ সম্পাদক মো. মহি উদ্দিন এক বিবৃতিতে বলেন, পত্রিকা কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত। এ ধরনের হীন ঘটনা ভবিষ্যতে গণমাধ্যমের ওপর গভীর প্রভাব ফেলতে পারে।
সিলেট
আজ বিকেলে সিলেট নগরের বন্দরবাজার এলাকার কোর্ট পয়েন্টে (শহীদ সাংবাদিক এ টি এম তুরাব চত্বর) সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের আয়োজনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি হয়।
সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি গোলজার আহমদের সভাপতিত্বে ও সহসভাপতি জহিরুল ইসলামের সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী, বাচিকশিল্পী সালেহ আহমদ, ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সিলেট বিভাগীয় কমিটির সাবেক সভাপতি নাজমুল কবির, এবি পার্টি সিলেট মহানগরের যুববিষয়ক সভাপতি তানজিল নাফি, সিলেট সদর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলাম, অনলাইন প্রেসক্লাবের সদস্য কামরুল আলম, নুরুল ইসলাম, জাকির হোসেন ও ফাহিম আহমদ প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সবার মত এক না–ও হতে পারে। প্রত্যেক সংবাদমাধ্যমের ভিন্নমত থাকতে পারে। কিন্তু এই নয় হামলা করে ভাঙচুর করতে হবে।
পাবনা
আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলা সদরের স্টেশন সড়কে ঈশ্বরদী প্রেসক্লাব মানববন্ধনের আয়োজন করে।
ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবের সভাপতি আজিজুর রহমানের সভাপতিত্ব ও সাধারণ সম্পাদক এস এম ফজলুর রহমানের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন সাবেক সভাপতি এস এম রাজা, সহসভাপতি হাসানুজ্জামান, সহসাধারণ সম্পাদক সেলিম সরদার, সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিম আহমেদ, সম্মিলিত নাগরিক জোটের আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান, সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠক খোন্দকার মাহাবুবুল হক, ঈশ্বরদী সাহিত্য-সংস্কৃতি পরিষদের সহসভাপতি জাহিদুল আলম প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে আজিজুর রহমান বলেন, ‘সাংবাদিক ও সংবাদমাধ্যমের কার্যালয় নিরাপদ রাখার দায়িত্ব সরকারের। কিন্তু সেই দায়িত্ব কতটুকু পালন হচ্ছে আমরা বুঝতে পারছি না। আমরা সরকারের কাছে সাংবাদিক ও সংবাদমাধ্যমের কার্যালয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছি।’
দিনাজপুর
বেছে বেছে প্রগতিশীল চিন্তার মানুষ ও সংগঠনগুলোর ওপরে হামলা চালাচ্ছে একটি গোষ্ঠী। পরিকল্পিতভাবে গণমাধ্যম ও মুক্তচিন্তার মানুষদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে রুদ্ধ করার পাঁয়তারা চালানো হচ্ছে। একদিকে বিচারহীনতার সংস্কৃতি অন্যদিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিষ্ক্রিয়তার কারণে দেশে এই ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, যা দেশ ও গণতন্ত্রের জন্য মারাত্মক হুমকি।
দিনাজপুরে আজ বিকেলে উদীচী-ছায়ানট ও গণমাধ্যমের ওপরে হামলার ঘটনায় প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশে এ কথাগুলো বলেন বক্তারা। বিকেলে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর দিনাজপুর শাখার আয়োজনে জেলা প্রেসক্লাবের সামনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সমাবেশে গণসংগীত পরিবেশনের পাশাপাশি বক্তব্য দেন উদীচীর কেন্দ্রীয় সংসদের সহসভাপতি রেজাউর রহমান, দিনাজপুর শাখার সভাপতি জলিল আহমেদ, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সদালাপের প্রমথেশ শীল, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির দিনাজপুর শাখার সভাপতি মেহেরুল ইসলাম, বাসদের আহ্বায়ক কিবরিয়া হোসেন ও প্রথম আলোর দিনাজপুর প্রতিনিধি রাজিউল ইসলাম প্রমুখ।
মাদারীপুর
উদীচী, ছায়ানটসহ দেশের শীর্ষ দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনায় মাদারীপুরে প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বিকেলে শহরের লেকপাড় শহীদ কানন চত্বরের সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন জেলার সাংস্কৃতিক কর্মীরা।
উদীচীর মাদারীপুরের সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন এলিনের উপস্থাপনায় এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন উদীচীর মাদারীপুরের সভাপতি রেজাউল করিম, সহসভাপতি সুলতান হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রনি মোল্লা, আবৃত্তি সংগঠন মাত্রার সাধারণ সম্পাদক বি এম লিটন, জেলার গণশিল্পী সংস্থার সভাপতি আজমল হুদা, বাউল সংগঠক সাজ্জাদ দেওয়ান ও তানিয়া সরকার, উদীচীর ডাসার উপজেলার সভাপতি শ্রীকান্ত রায়, বন্ধুসভার সাধারণ সম্পাদক আঞ্জুমান জুলিয়া প্রমুখ।